‘আত্মহত্যার চিন্তা মাথায়’, প্রক্টরকে ঢাবি ছাত্রের চিঠি!
‘আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে’ জানিয়ে প্রক্টরকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র। আজ বুধবার চিঠিটি পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী।
চিঠিটি লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সোহেল রানা।
চিঠিতে সোহেল লেখেন, ‘আমি সোহেল রানা। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। সপ্তম সেমিস্টারে ৪০১ নম্বর কোর্সের জন্য ডিনস-কমিটি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। আমার বাবা হার্ট অ্যাটাকের রোগী। যার ওপর পরিবারের সবাই নির্ভরশীল। তাঁর পক্ষে এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। সবাই পরীক্ষা দিলেও আমি টাকার অভাবে পরীক্ষা না দিতে পারায় হতাশায় ভুগছি। হতাশা থেকে আত্মহত্যার চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ওই ছাত্র পরীক্ষা দেবে না। পরে জরিমানা করা হয়েছে। এখন সে আমার কাছে চিঠি দিয়েছে। সেখানে আত্মহত্যার কথা লিখেছে। আবার সেটা মিডিয়ায় প্রচার করছে। এটা কোন ধরনের কাজ?’
গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এটা এক ধরনের অপরাধ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’ চিঠি পাওয়ার পর প্রক্টর বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলার সময় গত ১৪ মে ‘যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি’ ( কোর্স নম্বর ৪০১) নামক কোর্সটির পরীক্ষা দিতে পারেনি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা। ওই কোর্সে সবাইকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে বারবার ধরনা দেওয়ার পর গত ২০ নভেম্বর ডিনস কমিটির সভায় ৬১জন শিক্ষার্থীর সবাইকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা সাপেক্ষে পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সেই জরিমানা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেই প্রক্টরকে এই চিঠি পাঠালেন সোহেল রানা।
সোহেল এমন এক সময় আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে প্রক্টরকে এই চিঠি দিলেন যখন গণমাধ্যমে একের পর এক ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নয় ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।