‘নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চায়নের চেষ্টা হলে প্রতিরোধ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেছেন, ‘যদি নির্বাচনের নামে নাটক মঞ্চায়নের চেষ্টা চলে তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত সমাবেশে এসব বলেন সংগঠনটির নেতানেত্রীরা। ডাকসু নির্বাচনের আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নির্মাণ এবং ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে একাডেমিক ভবনগুলোতে করার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
মিছিলটি দুপুর ১২টায় মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে কলাভবন ও টিএসসি প্রদক্ষিণ করে অপরাজেয় বাংলায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি সালমান সিদ্দিকী, সহসভাপতি সাদিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক প্রগতি বর্মণ তমা।
বক্তারা বলেন, ‘দীর্ঘ ২৮ বছর বন্ধ থাকার পর ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এটা নিশ্চয়ই আমাদের আশান্বিত করে। আবার কিছু প্রশ্ন আমাদের ভাবায়। গত ১০ জানুয়ারি ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধনী কমিটি ও ২১ জানুয়ারি পরিবেশ পরিষদের বৈঠকে আমরা বলেছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলগুলোতে ভয়-ভীতি ও দখলদারত্বের পরিবেশ পুরো মাত্রায় বিদ্যমান। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ বাদে অন্য সংগঠনগুলোর অধিকাংশ নেতাকর্মী আবাসিক হলগুলোতে অবস্থান করতে পারছে না, মতপ্রকাশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ সেখানে নেই। সাধারণ ছাত্রদের অবস্থা আরো দুর্বিষহ। সেখানে গণরুম ও গেস্টরুমের মাধ্যমে চলে ছাত্রদের ওপর নির্যাতন। মিছিলে যেতে বাধ্য করা হয়। হলগুলো যেন একেকটা নির্যাতন কেন্দ্র, সর্বত্রই ভয়ের পরিবেশ বিদ্যমান। প্রশাসন যেন দখলদারদেরই সহযোগী ভূমিকা পালন করছে। তাই এ কথা নিশ্চিত হয়ে বলা যায়, অবাধ ও ভীতিহীন পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে এই নির্বাচনের উদ্দেশ্য ব্যহত হবে এবং ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতা আরো সংহত হবে। দখলদারত্ব প্রাতিষ্ঠানিক বৈধতা পাবে। তাই প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, সকল ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রদের জন্য সহাবস্থান ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করুন। ’
নেতারা আরো বলেন, ‘হলে নিরাপদ পরিবেশ না থাকায় প্রগতিশীল সংগঠনগুলোর দাবি হলো ভোটকেন্দ্র হলগুলোতে না করে, নিকটস্থ একাডেমিক ভবনগুলোতে করা। ছাত্রলীগসহ দু-একটি সংগঠন এই দাবির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও ক্রিয়াশীল সব ছাত্র সংগঠন ও ছাত্রসমাজ এই দাবিকে যথার্থ মনে করে।’
নেতারা বলেন, ‘ডাকসুর সভাপতি পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ডাকসুর গঠনতন্ত্রে সভাপতির একচ্ছত্র ক্ষমতা বিদ্যমান। একটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা একজন ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত থাকতে পারে না, ক্ষমতার ভারসাম্য আনা দরকার।’