ঢাবিতে ছাত্রদলনেতাকে মারধর, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এক নেতাকে মারধর করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন সংলগ্ন মল চত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদলনেতার নাম বুরহান উদ্দিন। তিনি ঢাবির সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ডাকসু নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থী। তিনি আরবি বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
বুরহানের অভিযোগ ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁর ওপর হামলা করে।
আহত বুরহান জানান, তিনি ব্যক্তিগত কাজে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে এসেছিলেন। এ সময় ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্রলীগের নেতা তাঁকে অনুসরণ করছিল। একপর্যায়ে সে রেজিস্ট্রার ভবন থেকে বের হলে আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া ছাত্রলীগের নেতারা তাঁর ওপর রড, স্টাম্প ও লাঠি নিয়ে হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাঁর কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোনসেট নিয়ে গেছে বলে জানান বুরহান।
বুরহান জানান, ১০ থেকে ১২ মিনিট পর জ্ঞান ফিরলে তিনি হেঁটে প্রক্টর অফিসে আসেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার জন্য প্রক্টরকে জানান। তবে তিনি কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেন। পরে তিনি হেঁটে মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে যান।
ছাত্রদলের কবি জসীমউদ্দিন হল শাখার আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন রিপন, যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমান তাজ ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আল আরিফ জানান, ভর্তি সংক্রান্ত কাজে আমরা রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে এসেছিলাম। এ সময় আমাদের সঙ্গে বুরহানও ছিল। কিছু সময় পর বুরহান বাইরে এলে ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিতের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন তাঁর ওপর হামলা করে। পরে তাঁকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়। তাঁর দুই হাত ও পা এবং পিঠে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনা শুনেছি। তবে এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নেই।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘সে (বুরহান) আসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সে লিখিত অভিযোগ করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বুরহান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন প্রক্টর। তিনি বলেন, ‘তাঁর আচরণ সন্তোষজনক ছিল না। তা ছাড়া সে কোনো পরিচয়পত্র দেখাতে পারেনি।’