রাকসু সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্ব চায় ছাত্র ফেডারেশন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু) নির্বাচন নিয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে রাকসু সংলাপ কমিটির বৈঠকের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপ শুরু হয়। এ সময় ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা রাকসুর সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্বসহ সাত দফা দাবি জানায়।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- আবাসিক হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, পরিবেশ পরিষদ গঠন করে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সহ-অবস্থান নিশ্চিতকরণ, রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত নয় এমন শিক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন, বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলকে সুবিধা প্রদান না করা, ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া এবং ভোটকেন্দ্রগুলোকে সিসি ক্যামরার আওতায় নিয়ে আসা।
রাকসু সংলাপ কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘ছাত্র ফেডারেশনের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাকসু নির্বাচনের সংলাপ শুরু হয়েছে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ছাত্রমৈত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে। পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে ডাকা হবে। ক্যাম্পাসে সহাবস্থান নিশ্চিত করে রাকসু নির্বাচন দেওয়া হবে।’
প্রক্টর আরো বলেন, ‘সংলাপে ছাত্র ফেডারেশনের নেতাকর্মীর সাত দফা দাবি জানিয়েছে। এর মধ্যে রাকসু সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্ব ও হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবি গঠনতন্ত্র বিরোধী। তাই সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে একাধিকবার ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসা হবে।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের রাবি শাখা সভাপতি তাসবির-উল ইসলাম কিঞ্জল বলেন, ‘সংলাপে আমরা সাত দফা দাবি জানিয়েছি। সংলাপ কমিটি রাকসু সভাপতি পদে ছাত্র নেতৃত্ব ও হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দাবির বিরোধিতা করেছে। সংলাপ কমিটি বলেছে, এটা রাকসুর গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী। তবে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা সম্ভব।’
এর আগে, রাকসু নির্বাচন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে সংলাপের জন্য প্রক্টর লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে গত ২২ জানুয়ারি সংলাপের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলোর গঠনতন্ত্র, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তালিকা আহ্বান করা হয়। এতে সংলাপের জন্য ১০টি ছাত্রসংগঠন তাদের গঠনতন্ত্র জমা দেয়।