ডাকসু নির্বাচন : হলগুলোতে চলে গেছে অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার পাঠানো হয়ে গেছে। আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এগুলো বিভিন্ন হলে নিয়ে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ভোটের আগের রাতে অনেক কাজ থাকে। তাই সামগ্রিক বিষয় নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ভুলে গিয়ে আজ বিকেল থেকে সিনেট ভবন থেকে ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপারগুলো বিভিন্ন হলে নিয়ে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা।
এর প্রতিবাদে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের কার্যালয় ঘেরাও করেন ছাত্রদল, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বামপন্থীদের প্যানেল প্রগতিশীল ছাত্রঐক্যসহ বেশ কয়েকটি প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা ভোটের দিন সকালে ব্যালট বক্স পাঠানোসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ব্যালট পেপার আজ রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বিভিন্ন হলে নিয়ে যান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। ছবি : স্টার মেইল
দাবিগুলো হলো-১. সবার ভোট গ্রহণের বাস্তব পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের সময় আরো চার ঘণ্টা বাড়ানো; ২. নির্বাচনকেন্দ্রিক শঙ্কা ও ধূম্রজাল নিরসনের লক্ষ্যে সব ধরনের মিডিয়ার কেবল পোলিং বুথের অভ্যন্তর ছাড়া নির্বাচনী এলাকা ও ভোটকেন্দ্রের সব তথ্য সংগ্রহের অবাধ সুযোগ তৈরি করা; ৩. ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আসতে নিরুৎসাহিত করাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা; ৪. স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার ও পোলিং এজেন্ট নিয়োগের অনুমতি প্রদান; ৫. নির্বাচনী পর্যবেক্ষক ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ; ৬. প্রতিটি কেন্দ্রে সকালবেলা ব্যালট পেপার নেওয়া এবং ৭. ভোট গ্রহণের দিন সকালবেলা সব রুটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৩ হাজার ২৫৫ জন। মোট কেন্দ্র ২৮টি। বুথ থাকছে মোট ৫১১টি। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে মোট ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২২৯ জন প্রার্থী। আর ১৮টি হল সংসদের ১৩টি করে পদে লড়ছেন ৫০৯ জন প্রার্থী।