ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই : উপ-উপাচার্য
আগামী ২৩ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের প্রথম সভার মধ্য দিয়ে নবনির্বাচিতরা দায়িত্ব নেবেন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেছেন, ডাকসুর পুনর্নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
মঙ্গলবার নিজ কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সামাদ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ১৮টি হলের প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ২৩ মার্চ ডাকসু এবং হল সংসদের কার্যনির্বাহী কমিটির সভার মধ্য দিয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করবেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
উপ-উপাচার্য বলেন, প্রথম সভায় শুভেচ্ছা বিনিময় এবং পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা হবে। এবং ৩৬৫ দিন পর্যন্ত তাদের মেয়াদ। যে সমস্ত ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলো আগামী ডাকসু নির্বাচনটা সুন্দর করার জন্য কাজ করা হবে। এই ডাকসু আর নতুন করে করার সম্ভাবনা আমার কাছে নেই।
একইসঙ্গে মুহাম্মদ সামাদ জানান, ডাকসু নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হবে এমাসেই। তার আগ পর্যন্ত আন্দোলনের পথ ছেড়ে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে অনিয়ম এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল এবং সমাবেশ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এ সময় উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি জানায় তারা।
সমাবেশে ডাকসু নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই নির্বাচন ভয়াবহ ভোট ডাকাতির নির্বাচন। পুনর্নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া অবধি আমরা লড়াই সংগ্রাম অব্যাহত রাখব।
তবে এদিন ভোট বজর্ন করা পাঁচটি প্যানেলের কোনো কর্মসূচি চোখে পড়েনি। আর আন্দোলনের পথ ছেড়ে নির্বাচিতদের মেনে নিয়ে শিক্ষা-কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ছাত্র সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ছাত্রলীগ।
ডাকসুর পরাজিত ভিপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, এই সময় ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং বিভিন্ন রকমের আন্দোলন করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটবে। আপনারা নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের কথা চিন্তা করেন।
প্রায় তিন দশক পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদ ছাড়া ডাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২৩টিতে জয় পায় ছাত্রলীগ। ভিপি পদে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে হারিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নুরুল হক নুর জয় পান।
ছাত্রলীগের প্যানেল ছাড়া অন্য সব প্যানেল ভোটের দিনই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে ছাত্রদল, কোটা সংস্কার, স্বতন্ত্র ও বাম জোটের প্রার্থীসমর্থকরা ডাকসুর পুননির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে।