‘মদপান’ করে রাবির দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আটক ৩
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (রাবি) দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকার ‘স্টার মেডিক্যাল হল’ ওষুধের দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকদের একজন মালিক ও অন্য দুইজন দোকানের কর্মচারী। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, মৃত মুহতাসিম রাফিদ খান নগরীর ভদ্রা এলাকায় ‘সাইদ টাওয়ার’ ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে থাকতেন। শুক্রবার রাতে তাঁরা ওই ছাত্রাবাসে মদপান করেন। রোববার দুপুরে ছাত্রাবাসের সে কক্ষ পুলিশ পরিদর্শন করে। এ সময় সেখানে মদের খালি বোতল ছাড়াও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট পাওয়া যায়, যা কেনা হয়েছিল স্টার মেডিক্যাল হল থেকে। সে কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ফার্মেসির তিনজনকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘পুলিশ রুম পরিদর্শনে গিয়ে কিছু মদের বোতল ও কিছু যৌন উত্তেজক ওষুধ পায়। ওষুধগুলো একটি কাগজের প্যাকেটে ছিল যার উপর স্টার মেডিক্যাল হলের সিল ছিল। যার সূত্র ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আটক করা হয়।’
এর আগে রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারা যান। মৃত তুর্য রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা গ্রামের পুর্নেন্দ্র রায়ের ছেলে। মৃত মুহতাসিম রাফিদ খান আইন বিভাগের একই বর্ষের ছাত্র। তিনি খুলনার দৌলতপুর থানা এলাকার কবির আলম খানের ছেলে। তাঁরা উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, একই সঙ্গে মদপান করে অসুস্থ হয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী রকি অসুস্থ হন।