আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতায় আছি : সাদ্দাম
ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দাবি করেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগির তথ্য বের হওয়ার পর থেকে তাঁকে প্রতিনিয়ত হল ও ক্যাম্পাস ছাড়ার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং এ জন্য তিনি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা বোধ করছেন।
কারা হুমকি দিচ্ছে—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাদ্দাম বলেন, ‘বেনামে ফোন দিয়ে ছাত্রলীগ, ছাত্রলীগ নেতা ও প্রশাসনের বরাত দিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিকেল ৪টা থেকে আমার ফোন ডিজেবল করা হয়েছে। সহসভাপতি তাজ ও শামীমের নম্বরও কাজ করছে না। এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে ছাত্রলীগকে জড়িয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এর জেরে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় জাবির ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেনের নামও উঠে আসে। তিনি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে দুর্নীতির তথ্য জানিয়ে বলেন, নিজেও টাকার ভাগ পেয়েছেন। টাকা ভাগাভাগির বিষয়ে উপাচার্য ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা জড়িত। এ বিষয়ে সাদ্দামের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর এক ফোনালাপও ফাঁস হয়েছে। সেখানে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা পাওয়া নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
এর পর থেকেই হুমকি পাচ্ছেন বলে জানান সাদ্দাম। গতকাল রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের অতিথি কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার কথা জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘দুটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে বলেছে, আপনি ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছেন। ছাত্রলীগ ও প্রশাসন আপনার ওপর ক্ষিপ্ত। আপনার হল ছেড়ে দেওয়া উচিত, ক্যাম্পাস ছেড়ে দিলে ভালো হবে।’
‘আমি শুনেছি রাতে হলে তল্লাশি অভিযান চালানো হতে পারে। আর তল্লাশি হলে আমাকে যেকোনোভাবে বিপদে ফেলা হবে। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত,’ যোগ করেন সাদ্দাম হোসেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমরা সব নিয়মিত শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। কিন্তু যেখানে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতেই হিমশিম খাচ্ছি সেখানে অবৈধ শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা আমরা কীভাবে দেব।’
হলে তল্লাশির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সহকারী প্রক্টর বলেন, ‘হলে তল্লাশি অভিযান চালানো হলে নিয়মিত ও বৈধ শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না। আর অবৈধভাবে কেউ হলে অবস্থান করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’
একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর বলেন, ‘একজন অবৈধ ছাত্রের বিষয়ে আমি এত জবাব দেব কেন?’