বিদ্রোহীদের তাড়া খেয়ে ক্যাম্পাসছাড়া ইবি ছাত্রলীগ সম্পাদক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের বিদ্রোহী গ্রুপের তাড়া খেয়ে ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় এলাকায় আসলে ধাওয়া দেয় বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেলের দিকে ক্যাম্পাসে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম। জিয়া হল মোড় এলাকায় বহিরাগতদের সঙ্গে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করেন তিনি। খবর পেয়ে বিদ্রোহী গ্রুপের কর্মীরা বঙ্গবন্ধু হলসহ বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে শুরু করে। রাকিব বুঝতে পেরে পালাতে শুরু করলে বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীরা চাপাতি (হাশুয়া), লাঠিসোটা ও রডসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া দেয় রাকিবকে। বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্ব দেন শিশির ইসলাম বাবু, ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত, মিজানুর রহমান লালন, তৌকির মাহফুজ মাসুদ ও যুবায়েরসহ শতাধিক নেতাকর্মী। ধাওয়া খেয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে এক বাড়িতে আশ্রয় নেন রাকিব। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বিদ্রোহী গ্রুপের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বহিরাগত অছাত্রদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাকিব। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে আমরা তাঁদের প্রতিহত করেছি।
শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি পালনের বিষয়ে ক্যাম্পাসে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। চলে আসছি, পরে কী হয়েছে জানি না।’
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।’
এর আগে গত ৭ ও ৯ সেপ্টেম্বর শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গাড়িচালক নিয়োগ ও আঞ্চলিক নেতাবাণিজ্য সম্পর্কিত অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়। অডিওতে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে গাড়িচালক ও নেতাবাণিজ্য নিয়ে কথা বলেন সম্পাদক। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাধারণ সম্পাদকের বিচার দাবি করে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে দীর্ঘ পাঁচদিন থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহী গ্রুপ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে শনিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ ও বিদ্রোহী গ্রুপ। আগামী শনিবার দুই গ্রুপের কর্মসূচি নিয়ে ছাত্রলীগের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে।