ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাবি শিক্ষকের ভাই গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষক বিথীকা বণিকের ভাই শ্যামল বণিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে নগরীর ধরমপুর এলাকার যোজক টাওয়ারের একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মতিহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ভুক্তভোগী ছাত্রী মামলা করেছেন।
গ্রেপ্তার শ্যামল বণিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিভাগের অধ্যাপক ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ বিথীকা বণিকের ছোট ভাই। ভিকটিম ছাত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রাখা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যোজক টাওয়ারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যোজক টাওয়ারের তৃতীয় তলার একটি বাসায় অধ্যাপক বিথীকা বণিকের সঙ্গে থাকেন তাঁর ভাই অভিযুক্ত শ্যামল বণিক।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বিথীকা বণিকের সন্তানকে প্রাইভেট পড়াতেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ওই বাসায় পড়াতে যান। বৃষ্টির কারণে ওই ছাত্রী রাতে অধ্যাপকের বাসায় থেকে যান। রাত ৩টার দিকে শ্যামল তাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি কৌশলে বাসার অন্য একটি কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। জাতীয় নিরাপত্তা সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে ওই ছাত্র বিষয়টি জানান। পরে ভোর ৬টার দিকে পুলিশ তাঁকে বাসা থেকে উদ্ধার করে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পেয়ে আমরা ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি। তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক শ্যামলকে আদালতের মাধ্যমে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
গ্রেপ্তার শ্যামলের বড় বোন অধ্যাপক বিথীকা বণিক বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত দেড়টার দিকে ফজিলাতুন্নেছা হলে একটা সমস্যার কারণে আমি বাসা থেকে হলে আসি। রাতে হলেই ছিলাম। সকালে বিষয়টি জানতে পারি। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত জরুরি। যদি আমার ভাইয়ের দোষ থাকে তাহলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এটাই আমার দাবি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ‘যোজক টাওয়ারে আমিও থাকি। ভোরে পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি।’