বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক সমিতির সমর্থন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ। এ সময় তিনি বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান। আজ মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানাতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, যথাযথ ব্যাবস্থাপনা ও পরিচর্যার অভাবে এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাই।
এর আগে আবরার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।
সকাল সাড়ে ১০টায় বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।
পরে তারা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে আবরার হত্যার বিচার চেয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন এবং খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বুয়েট উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে আসার দাবি জানান এবং ১১ অক্টোবরের মধ্যে তাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক পরিচালক মিজানুর রহমান ক্যাম্পাসে যান। সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। বুয়েট শহীদ মিনারের সামনে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা রকম প্রশ্ন করতে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তোলেন, ‘আমাদের (শিক্ষার্থী) দায়িত্ব কে নেবে? আমরা হলের ছেলেরা অনিরাপত্তায় ভুগছি, কোথায় যাব, আবরার মারা যাওয়ার আগে পুলিশ কীভাবে হলে প্রবেশ করল? কে পুলিশকে খবর দিয়েছে?’ এ ছাড়া বুয়েট থেকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা যে আট দফা দাবিতে আন্দোলন করছ, আমি সেই দাবির সঙ্গে একমত। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে সকলভাবে সহযোগিতা করব।’