সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতা রোখার শপথ বুয়েটের
সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়ার শপথ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারের দাবিতে চলমান মাঠের আন্দোলনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন তাঁরা।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়াম হলে এই শপথবাক্য পাঠ করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিয়া রিজওয়ানা এই শপথবাক্য পাঠ করান। তাঁর সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে ও বুকে হাত রেখে শপথবাক্য পাঠ করেন।
গণশপথ অনুষ্ঠানে অন্তত দেড় হাজার আন্দোলনরত শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন বলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া মিলনায়তনে জায়গা না পেয়ে বাইরে অনেকেই শপথে অংশগ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণের আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার আবরারের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) মো. সাইফুল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষক আমন্ত্রিত অতিথি। ভিসি, ভারপ্রাপ্ত ডিএসডব্লিউ ড. মো. আবদুল বাসিত এবং সাতটি হলের প্রভোস্ট শপথবাক্য পাঠ করলেও বুয়েটের সাধারণ শিক্ষকরা শপথ নেওয়া থেকে বিরত ছিলেন।
আন্দোলনরত বুয়েটের চতুর্থ বর্ষের তড়িৎ প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র সৌমিক বলেন, ‘গণশপথের মাধ্যমে আমরা রাজপথে অবস্থান করার মতো কর্মসূচিগুলো থেকে বিরত থাকব শুধু। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে এবং কোনো ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে না। যত দিন পর্যন্ত দোষীদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা হবে, তত দিন একাডেমিক সব কার্যক্রম বন্ধ রাখব আমরা।’
সাধারণ শিক্ষকরা কেন এই শপথে অংশ নেননি কেন—এমন প্রশ্নে আন্দোলনের সামনে থাকা অন্তরা মাধুরী তিথি বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষকরা মনে করেন, তাঁরা আবরার ফাহাদ হত্যার সঙ্গে জড়িত নন বা তাঁদের কোনো গাফিলতিও নেই। তাই এখানে তাঁরা শপথবাক্য পাঠ করেননি। তবে শিক্ষকরা আমাদের বলেছেন, যদি প্রয়োজন হয় তাঁরা শিক্ষক সমিতির মাধ্যমে শপথ নেবেন।'