ডাকসুতে বসে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনবেন রাব্বানী
প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কার্যালয়ে বসবেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী। ওই সময় শিক্ষার্থীদের সকল অভিযোগ শুনবেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে ডাকসুর সাত মাস পর এর প্রত্যাশা-প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, ডাকসুর কার্যক্রম সাতমাস অতিবাহিত হয়েছে। তারপরেও তাদের প্রত্যাশা-প্রাপ্তি অপূর্ণই রয়ে গেছে। এখনো গণরুম সংকট সমাধান হয়নি হয়নি। বিভিন্ন বিভাগে অতিরিক্ত ফি, লাইব্রেরি বর্ধিতকরণ ইত্যাদি কাজ অপূর্ণই রয়ে গেছে।
অভিযোগ আছে, ছাত্রলীগের হাতে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীরা নির্যানতনের শিকার হন। ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করলেও বিচার পাওয়া যায় না।
এমন পরিপ্রেক্ষিতে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘এবার থেকে যদি কোন শিক্ষার্থী এসব বিষয়ে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসে তবে আমি ডাকসুর পক্ষ থেকে সমাধান করার চেষ্টা করব। শিক্ষার্থীদের কথা শুনব। সাধ্যমত চেষ্টা করব তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য।’
ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণের পর গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ করে শিক্ষার্থী এবং ডাকসু নেতারা। তাদের দাবি, রাব্বানী জিএস হওয়ার পর নিয়মিত ডাকসুর প্রোগ্রামে উপস্থিত হননা। শিক্ষার্থীরা তাকে বিভিন্ন সময় সমস্যা নিয়ে তাকে ফোন করলেও পাননা।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদচ্যুত হন তিনি। এর দীর্ঘ একমাসে ঢাবি ক্যাম্পাসে আসেনি তিনি।
গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি আগে যে সময়টা মধুর ক্যান্টিনে বসতাম এখন এই সময়ে ডাকসুতে বসব। এখন থেকে শিক্ষার্থীদের সময় দিতে পারব। তাদের আর্থিক বা কোন সমস্যা হলে ডাকসু থেকে সমাধান করার চেষ্টা করব।’
এরইমধ্যে গত মঙ্গলবার ডাকসুতে এসে ঢাবিতে টর্চার সেল নিয়েও কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন রাব্বানী।
তিনি বলেন, ‘আমি গণরুমের সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে সিদ্ধান্ত এসেছে। আগামী বছরের শুরু থেকে এই সমস্যার সমাধান হবে।’ তিনি বলেন, ‘এক দিনে তো রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব না। বাকি যে ছয় মাস আছে এর মধ্যে সবধরণের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।’
রাব্বাসী জানান, ইতোমধ্যে যে ‘জো বাইক’ উদ্বোধন করা হয়েছে একই সঙ্গে রিকশা ভাড়াও নির্ধারণ করা হবে। তাদের জন্য ক্যাম্পাসে আলাদা লেন থাকবে বলেও জানান তিনি।
রাব্বানী বলেন, ‘হলগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে। প্রত্যেক ফ্লোরে দুইটা করে ফিল্টার থাকবে। যা লাইব্রেরিতেও দেওয়া হবে।’