সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নে নির্বাচনি প্রচারকালে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টু (আনারস) ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন এবং ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর (নৌকা) ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এফ কবির চৌধুরী ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলা হয়।
অভিযোগ করা হয়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সগুনা ইউনিয়নের সবুজপাড়া আক্কেলের ঘাট (আমতলা) এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। আজ শনিবার এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টু রিটার্নিং অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সগুনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার আলী ভুট্টু অভিযোগ করেন, ‘গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর ৪০ থেকে ৪৫টি মোটরসাইকেলে আমার সমর্থকদের নিয়ে ইউনিয়নে নির্বাচনি প্রচারের জন্য বের হই। প্রচারকালে সবুজপাড়া আক্কেলের ঘাট এলাকায় পৌঁছালে ওত পেতে থাকা নৌকা প্রার্থীর ছোট ভাই নবীর চৌধুরী, এফ কবির চৌধুরী ও তাঁর ছেলে রিফাতসহ নৌকার সমর্থকেরা আমার ও আমার সমর্থকদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আমার সমর্থকদের তারা রড, লাঠি ও বাটাম দিয়ে পেটায় এবং কর্মীদের ৩০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এতে আমাদের ২০ জন কর্মী আহত হয়েছেন।’
জুলফিকার আলী আরও অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি জানিয়েছি। পরে শনিবার দুপুরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে সগুনা ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য জানতে বার বার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
তাড়াশ থানার ওসি আশিক বলেন, ‘এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রির্টানিং অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’