গাড়ি থাকলেও ড্রাইভার রাখার টাকা ছিল না কারিনাদের
অনেকের মতে, বলিউডের প্রথম পরিবার ‘কাপুর বংশ’। কিন্তু কারিনা কাপুর খান ও তাঁর বড় বোন কারিশমা কাপুর বিলাসী যাপনে বেড়ে ওঠেননি। ১৯৭১ সালে ববিতা ও রণধীর কাপুর বিয়ে করেন। কিন্তু ১৯৮৮ সালে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। এর পরেই নেমে আসে বিপর্যয়।
ভারতের বিনোদনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলিউড লাইফের খবর, কারিশমা-কারিনার মা ববিতা থাকতেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রায়। দুই মেয়ে নিয়ে সংসার। ছোটখাটো ব্যবসা করে কোনওরকমে সংসার চালাতেন। লোকে মনে করে, কাপুর পরিবারের মেয়ে বলে হয়তো সুবিধাভোগী শ্রেণির অংশ ছিলেন কারিনা। কিন্তু সে কথা উড়িয়ে দেন তিনি।
একবার এক সাক্ষাৎকারে কারিনা কাপুর বলেছিলেন, অর্থকষ্টে বড় হয়েছেন তাঁরা। এ-ও বলেন, তাঁদের একটিমাত্র গাড়ি ছিল, কিন্তু টাকার অভাবে চালক রাখতে পারেননি। বি-টাউনবাসীর সবাই জানেন, অল্প বয়সে সিনেমায় কাজ শুরু করেন কারিশমা কাপুর। আর পরে কারিশমার কল্যাণেই ধীরে ধীরে আর্থিকভাবে সচ্ছল হন তাঁরা।
২০১১ সালে কারিনা কাপুরের কাছে হিন্দুস্তান টাইমস প্রশ্ন রেখেছিল, চাচাতো ভাই রণবীর কাপুর যেমন সুবিধা নিয়ে বেড়ে উঠেছেন, তাঁর বেড়ে ওঠাও কি তেমন ছিল? কারিনা তখন বলেছিলেন, লোকে কাপুর বংশকে নিয়ে যেভাবে চিন্তা করে, আদতে তাঁরা সেভাবে বেড়ে ওঠেননি। এ চিত্রনায়িকা যুক্ত করেন, ‘মা (ববিতা) ও বোন (কারিশমা) আমার উন্নত জীবনের জন্য সত্যিই সংগ্রাম করেছেন। বিশেষ করে আমার মা। কারণ, তিনি সিঙ্গেল প্যারেন্ট ছিলেন। সবকিছুই আমাদের জন্য খুব সীমিত ছিল।’ কারিনা আরও জানান, আর দশটা মানুষের মতো বোন কারিশমাও গণপরিবহণে চলতেন।
কারিনা জানান, লোলো (কারিশমার ডাকনাম) লোকাল ট্রেনে করে কলেজে যাতায়াত করতেন। আর অন্যদের মতো কারিনা স্কুলবাসে চড়তেন। একটি গাড়ি ছিল তাঁদের, কিন্তু ড্রাইভার রাখার মতো পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না। মায়ের জন্যই আজ তাঁরা এ পর্যায়ে আসতে পেরেছেন। আর সেই কষ্টভরা দিনগুলোই তাঁদের আরও উদ্যম বাড়িয়েছে। সেই অভিজ্ঞতার জন্য আজ দৃঢ়চেতা কারিনা।
অবশ্য অনেক পরে দুই সন্তানের কথা ভেবে ববিতা ও রণধীর কাপুর পুনরায় মিলিত হন। এখন তাঁরা অবসর বিনোদনের সঙ্গীও হন। তবে অতীতকে ভোলেননি বলিউডের বেবো।