জুলফিকার রাসেল।  দুই বাংলার অন্যতম গীতিকবি। গত ৭ মার্চ সন্ধ্যায় কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত জমকালো মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস (বাংলা) আসরে সবাইকে ছাপিয়ে ২০১৭ সালের সেরা আধুনিক বাংলা গানের পুরস্কার জিতে নিয়েছে এই গীতিকবির গান।

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতার গাওয়া গানটির নাম ‘সবুজ ছিল’। নচিকেতার ‘বেঁচে থাকার মানে’ একক অ্যালবামটিতে গানটি ছিল। আশা অডিও থেকে প্রকাশিত অ্যালবামটির সব গানেই লিখেছেন জুলফিকার রাসেল।

মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গানটির শিল্পী নচিকেতা ও গীতিকবি জুলফিকার রাসেল উপস্থিত না থাকার কারণে সেদিন সেরা গানের ট্রফিটি তাদের পক্ষ থেকে গ্রহণ করেন আরেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব অঞ্জন দত্ত।  গত  বৃহস্পতিবার সেই সম্মাননা ট্রফি হাতে পান জুলফিকার রাসেল। শুক্রবার ট্রফি নিয়ে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফেরেন তিনি।

এ বিষয়ে নিজের অনুভূতি জানতে চাইলে জুলফিকার রাসেল বলেন,‘বৃহস্পতিবার রাতে সংগীতায়োজক টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলীকে সঙ্গে নিয়ে আশা অডিও’র কর্ণধার মহুয়া লাহিড়ি যখন ভারতের রেডিও মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস (বাংলা )-এর ট্রফিটি আমার হাতে তুলে দিলেন, দারুণ এক অনুভূতি হয়েছিল। দেশের বাইরে এটাই আমার প্রথম স্বীকৃতি। স্বাভাবিকভাবেই এই অনুভূতি অন্যরকম। তবে মঞ্চে সবার উপস্থিতিতে এই ট্রফিটি হাতে নিতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগত। নানা কারণে সেটা হয়নি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই গানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।’

মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে (বাংলা) রীতি অনুযায়ী সেরা গান বা অ্যালবাম পুরস্কার পেলে শিল্পীর ট্রফি মঞ্চে দেওয়া হয়, অন্যরা উপস্থিত থাকলে তার সঙ্গে যুক্ত হন। এরপর গান সংশ্লিষ্ট গীতিকবি, সুরকার, সংগীতায়োজক, প্রযোজকের জন্য আলাদা আলাদা ট্রফি পাঠিয়ে দেওয়া হয় গানটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানে। সেই নিয়মের মধ্য দিয়েই ২২ মার্চ ট্রফিটি হাতে পান জুলফিকার রাসেল।এই আসরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম কোনো গীতিকবি মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস (বাংলা) জিতে নিলেন। এর আগে গানে অবদানের জন্য বাংলাদেশ থেকে এই আসরে সম্মানিত হন একমাত্র রুনা লায়লা। 

এদিকে মিরচি কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘সবুজ ছিল’ গানটি বছরের সেরা হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় সেটির গীতিকবি জুলফিকার রাসেল, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা, সংগীতায়োজক টুনাই দেবাশীষ গাঙ্গুলি ও প্রযোজনা সংস্থা আশা অডিওকে পুরস্কারটি প্রদান করা হয়।

মিরচি মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসে (বাংলা) এবারের আসরে আধুনিক বাংলা গান বিভাগে আরো পুরস্কার পেয়েছেন সেরা পুরুষ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে শোভন (ছুঁয়ে যাই ভেজা আঙুল), সেরা নারী কণ্ঠশিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায় (আমি তো বুঝিনি ঠিক), সেরা কম্পোজার পূরবশীল আচার্য (কোনো চিঠি আসবে না) এবং সেরা লিরিসিস্ট হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন রুপম ইসলাম (ডানিকেন)।