‘বাবার অপ্রকাশিত গানগুলো গাইব’
‘কাল থেকে মন অনেক খারাপ। বাবাকে মিস করছি। গতকাল পুরান ঢাকায় আমাদের বাসায় বাবার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদের আয়োজন করেছিলাম আমরা। কাছের কিছু মানুষ মিলাদে এসেছিলেন।’-কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন কিংবদন্তি সংগীত তারকা লাকী আখন্দের মেয়ে মাম-মিনতী।
আজ ২১ এপ্রিল লাকী আখন্দের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। মৃত্যুবার্ষিকীতে বাবাকে স্বরণ করে মাম-মিনতী বলেন, “বাবার ব্যান্ড দল ‘হ্যাপি টাচ’ নিয়ে আমি এখন কাজ করছি। আমার ও লেভেল পরীক্ষা শেষ। আমি এখন গান নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। বাবার অপ্রকাশিত গানগুলোও আমি গাইব। তাঁর পাঁচটার মতো অপ্রকাশিত গান রয়েছে।”
মাম-মিনতী আরো বলেন, “‘হ্যাপি টাচ’ ব্যান্ডদলে প্রথমে বাবার গাওয়া গানগুলো নিয়ে কাজ করতে চাই। পরবর্তী সময়ে নিজের কিছু মৌলিক গান করার ইচ্ছে আমার রয়েছে।”
আশির দশকের জনপ্রিয় সুরকার, শিল্পী ও সংগীত পরিচালক ছিলেন লাকী আখন্দ । গত বছর এই দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লাকী আখন্দের ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর তাঁকে ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। থাইল্যান্ডের পায়থাই হাসপাতালে তাঁর যকৃতে অস্ত্রোপচারও করা হয়। এরপর দেশে এসে কিছুদিন থাকার পর একই বছরের নভেম্বরে আবারও ব্যাংককে গিয়ে শরীরে ছয়টি কেমো নিতে হয়েছিল তাঁকে। কেমো শেষ করে ২০১৬ সালের ২৬ মার্চ দেশে ফেরেন তিনি।
২০১৭ সালের প্রথম তিন মাস ঢাকার তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন লাকী আখন্দ। তাঁর শরীরে মোট নয়টি কেমো দেওয়া হয়েছিল। কেমো দেওয়া শেষ হলে চিকিৎসকরা তাঁকে বাসায় কিংবা পাহাড়ে গিয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা লাকী আখন্দ। তাঁর গাওয়া ও সুরের উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘আগে যদি জানতাম’, ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’, ‘মা-মনিয়া’, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’, ‘লিখতে পারি না কোনো গান’, ‘কি করে বললে তুমি’ ইত্যাদি।