এশিয়ার মডেলদের নিয়ে এশিয়া মডেল ফেস্টের ১৩তম আসর সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশের জনপ্রিয় মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমি এশিয়া মডেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের কোয়েক্স মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে গত রোববার ইমি এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

কোরিয়া মডেল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের ইমি ছাড়াও ১৩টি দেশের ১৩ জন মডেলকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে এশিয়া মডেল ফেস্ট সমন্বয় ও আয়োজন করেছে বাংলাদেশি যোগাযোগ ও অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান ক্রসওয়াক কমিউনিকেশন ও কোরীয় প্রতিষ্ঠান কোরবান। এশিয়ার দেশগুলোর মডেলিং ও ফ্যাশন জগতের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনে এখন থেকে প্রতিবছর পূর্ণ পরিসরে অংশ নেবে বাংলাদেশ। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলের স্যামঝাং হোটেলে উৎসবের আয়োজক প্রতিষ্ঠান কোরিয়া মডেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন এই দুই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা। এনটিভি অনলাইনকে এমনটিই জানিয়েছেন ক্রসওয়াকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মারুফ।

আগামী বছর থেকে এ দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ‘ফেস অব বাংলাদেশ’ শিরোনামে নতুন মডেল খোঁজার প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে। এর মাধ্যমে সেরা চারজন মডেল এশিয়া মডেল ফেস্টের ‘নিউ স্টার মডেল কনটেস্ট’ ও ‘ফেস অব এশিয়ায়’ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মডেল শাবনাজ সাদিয়া ইমি, কোরীয় মডেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইউ সিগ ইয়াং, ক্রসওয়াকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মারুফ এবং কোভানের গ্লোবাল চেয়ারম্যান মাইয়ান হান কো ও কোরবান বাংলাদেশের জেমস কিম।

এ বছরের ১৩তম এশিয়া মডেল ফেস্টে অংশ নিয়েছে এশিয়ার ২৭ দেশ। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন দুজন মডেল। সেলিব্রেটি মডেলদের বিশেষ আয়োজন এশিয়া মডেল স্টার ও মডেল পুরস্কার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন শাবনাজ সাদিয়া ইমি।

শনিবার শুরু হয় ফেস অব এশিয়া অনুষ্ঠান। সেরা নবীন মডেল খোঁজার এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন স্মরণ রহমান। 

গত রোববার এশিয়ার ট্র্যাডিশনাল ফ্যাশনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে র‌্যাম্পে হাঁটেছেন ইমি ও স্মরণ। ২৭ দেশের সেলিব্রেটি মডেলদের নিয়ে গালা অনুষ্ঠানে এশিয়া মডেল স্টারের মঞ্চে হেঁটেছিলেন ইমি। 

ক্রসওয়াকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মারুফ বলেন, ‘এশিয়া মডেল ফেস্ট বাংলাদেশের নতুন এবং প্রতিভাবান মডেলদের জন্য একটি অনন্য একটি প্ল্যাটফর্ম। এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করে মডেলিং এবং ফ্যাশনে আমরা আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারব। এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের নবীন মডেলরা আন্তর্জাতিক মানের ডিজাইনারদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পান। প্রথমবারের মতো আমরা এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করছি এবং অর্জন করছি আগামীর জন্য জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা।’

অন্যদিকে, এই আয়োজন সম্পর্কে কোরিয়া মডেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ইউ সিগ ইয়াং বলেন, ‘ফ্যাশন ও মডেলিংয়ের হিসাব এখন পাল্টে গেছে। মানুষের রুচি ও পছন্দের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে এখন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিতে হবে। বৈশ্বিক বাজার ধরতে হলে এখানেও বিগ ডাটা ও তথ্য বিশ্লেষণের গুরুত্ব বুঝতে হবে। আর আমরা এই কাজটিই করছি। এশিয়ান মডেল ও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতেই আমাদের এই আয়োজন।’