কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জয়ন্তী উপলক্ষে বরেণ্য সংগীতশিল্পী মিতা হক পরিচালিত সংগীত দল ‘সুরতীর্থ’  আয়োজন করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বদেশবিষয়ক গানের অনুষ্ঠান ‘এখনো গেল না আঁধার’।

আজ শনিবার, ১২ মে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় জাদুঘরের মূল মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ,পূজা পর্যায়ের বিভিন্ন গান দিয়ে অনুষ্ঠান সাজানো হয়। ‘বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন, এক হউক’- বাংলার মানুষকে এই মূল মন্ত্রে উজ্জীবিত করতে এই আয়োজন।

বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বের অস্থিরতা, ধর্মন্ধতা, মানুষের মানবিকবোধ ও ধর্মের মূল কথাকে পৃথক করে দেখার প্রবণতা এবং আমাদের দেশের মানুষের চিন্তা-চেতনার অধমুখী যাত্রা, আমাদের সবার হৃদয়কে ব্যথায় ভারাক্রান্ত করে চলেছে। এই ঘোর অন্ধকার কবে কাটবে, কীভাবে এই অসুন্দরকে ভেদ করে আমরা নতুন আলোর দেখা পাব, সেটাই আমাদের চিন্তার বিষয়।’

সঙ্গীতশিল্পী মিতা হক আরো বলেন, ‘আমাদের স্বদেশ প্রেমের গানগুলো আমাদের সে পথই দেখাবে। দেশে এখন একটি ক্রান্তিকাল চলছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে মানুষকে ডাকা, স্বদেশের প্রেমে উদ্বুদ্ধ করতেই আমাদের এই আয়োজন।’

অনুষ্ঠানে ‘সার্থক জনম আমার’, ‘হিংসায় উন্মত্ত পৃথ্বী’, ‘মোরা সত্যের পর মন’, ‘আঁখিজল মুছাইলে জননী’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘তোর আপন জনে ছাড়বে তোরে’, ‘কে এসে যায় ফিরে ফিরে’, ‘এই কথাটা ধরে রাখিস’সহ একক ও সম্মেলক মিলিয়ে রবীন্দ্রনাথের মোট ২৭টি গান পরিবেশিত হয়।

অনুষ্ঠানে একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন, সুরাইয়া মোজাম্মেল, শ্রাবণী সাহা, সঞ্চিতা পাল, অরুণা চক্রবর্তী, শুক্লা পাল সেতু, সেমন্তী মঞ্জুরী, রানু কর্মকার, বিপ্লবী কর্মকার, শায়লা ইমাম কান্তা, শিবাণি ধর, ফারহানা হাফিজ, আরমিন মুসা, ফারহিন খান জয়িতা।   

অনুষ্ঠানে একক গানের পাশাপাশি ছোট ছোট দলে ভাগ করেও কিছু গান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে দ্বৈত গান পরিবেশন করেন, কবিতা বিশ্বাস, শিল্পী রায় পলি। তিনজনের দলে ভাগ হয়ে গান পরিবেশন করেন, সৈয়দা রোযানা রশীদ, শাশ্বতী মাথিন, নুভানা নাঈমা হক। চারজনের দলে ভাগ হয়ে গান পরিবেশন করেন শঙ্করি মিত্র, রোকসানা পারভীন, সাফিনাজ গাজী, রেজওয়ানা আফজাল। অনুষ্ঠানের ধারা বর্ণনায় ছিলেন জয়ন্ত রায়।