ঈদে থাকছে জাহিদ-চঞ্চল- তিশার ‘ফেয়ার প্লে’
বাংলাদেশে বিশ্বকাপ ফুটবল এক উন্মাদনার নাম। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনের শ্রেষ্ঠ এই আসর শুরুর কয়েকমাস আগে থেকেই এদেশের সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে যান বিভিন্ন দলে-উপদলে। ফুটবলের উত্তাপ গায়ে মেয়ে লিপ্ত হন নানামুখী তর্কযুদ্ধে। আর এইসব মিষ্টি বাহাসকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় নানা ধরনের নাটক, সিনেমা, অনুষ্ঠান।
বিশ্বকাপ ও ঈদুল ফিতরকে উপলক্ষ্ করে নির্মিত হয়েছে ৭ পর্বের বিশেষ নাটক ‘ফেয়ার প্লে’। লেখক ও নাট্যকার পলাশ মাহবুবের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করছেন আবু হায়াত মাহমুদ। সাত পর্বের এই ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন বর্তমান সময়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনজন অভিনয়শিল্পী জাহিদ হাসান, তিশা ও চঞ্চল চৌধুরী।
‘ফেয়ার প্লে’ নাটকে দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী ও জাহিদ হাসান। এদের একজন ব্রাজিল সমর্থক অন্যজন আর্জেন্টিনার। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে জাহিদ বলেন, ‘চমৎকার গল্পের একটি পারিবারিক নাটক। আমাদের দেশে নাটকের বাজেট কমে গেছে বলে নির্মাতাকে বাধ্য হয়েই অনেক চরিত্র কমিয়ে ফেলতে হয়। কিন্তু এই নাটকটিতে এমন কিছু করা হয়নি। অনেকদিন পর পারিবারিক আবহের একটা নাটকে অভিনয় করলাম। অভিনয়ের সময়ে মনে হচ্ছিল পরিবারে আছি, নাটকটি যারা দেখবেন তারাও পারিবারিক আবহটা টের পাবেন।’
জাহিদ হাসানের বক্তব্যের সঙ্গে অভিনেত্রী তিশাও একমত হন। তিনি বলেন, ‘নাটকটি করার সময় খুব মজা হয়েছে। জাহিদ ভাই, চঞ্চল ভাইয়ের সঙ্গে অভিনয় করা তো সবসময় বেশ আনন্দের। তবে এ নাটকে অনেক বেশি চরিত্র থাকার কারণে, যেমন বাবা আছে, মা আছে, ভাই-বোন আছে, এমনকি বোনের হাজবেন্ড, বাচ্চাও আছে। এই কারণে নাটকটি ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লেগেছে। আশা করছি নাটকটি বেশ জনপ্রিয়তা পাবে।’
ফেয়ার প্লে প্রসঙ্গে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘পলাশ মাহবুবের লেখায় চমৎকার উইট থাকে, গল্প থাকে। এ জন্যই নাটকটি করা। তা ছাড়া নাটকটিতে এক ধরনের পজিটিভ ভাইব রয়েছে। এটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের সময় খেলার পাশাপাশি নাটকটিও সবাই উপভোগ করবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
‘ফেয়ার প্লে’ নাটকে জাহিদ-তিশা-চঞ্চলসহ অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, দিলারা জামান, রুনা খান, আব্দুল্লাহ রানা, শাহেদ আলী সুজন, সুজাত শিমুল।
‘ফেয়ার প্লে’ প্রচারিত হবে ঈদের প্রথম সাতদিন, বাংলাভিশনে।