এবার এনটিভির ‘বুকের বা পাশে’ গড়ল ‘রেকর্ড’
ঈদ উপলক্ষে এনটিভিতে প্রচারিত, মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বুকের বা পাশে’ টেলিফিল্মটি নতুন রেকর্ড গড়েছে। টেলিফিল্মটি টিভিতে প্রচারের দুই দিনের মধ্যে ইউটিউব চ্যানেলে ১০ লাখবার দেখা হয়েছে।
ঈদের চতুর্থ দিন ১৯ জুন টেলিফিল্মটি দুপুরে প্রচারের কিছুক্ষণ পর এনটিভির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়। খুব অল্প সময়ের মধ্যে টেলিফিল্মটির দর্শক বাড়তে থাকে। দুই দিনের মধ্যে টেলিফিল্মটি ১০ লাখ বারের বেশি দেখা হয়।
এনটিভিতে গত বছর ঈদুল ফিতরে প্রচারিত হয় টেলিফিল্ম ‘ব্যাচ ২৭’। মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত টেলিফিল্মটি তিন দিনের মধ্যে ১০ লাখ দর্শক দেখেছেন।
অন্যদিকে, একই পরিচালকের সেই ঈদে প্রচারিত ‘বড় ছেলে’ টেলিফিল্মটিও তিন দিনের মধ্যে ইউটিউবে ১০ লাখ দর্শক দেখেন।
নিজের ‘বুকের বা পাশে’ টেলিফিল্মের নতুন রেকর্ডে উচ্ছ্বসিত পরিচালক মিজানুর রহমান আরিয়ান। বলেন, ‘মনে হচ্ছে নিজের কাজের সাথে নিজেই প্রতিযোগিতা করছি। ভালো লাগছে এই ভেবে যে খেলার মৌসুমে দর্শক এই টেলিফিল্মটি দেখেছেন। এনটিভির জন্য যত নাটক আমি নির্মাণ করেছি, সব নাটকই দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন।’
আরিয়ান আরো বলেন, ‘এর আগে দুই দিনের মধ্যে কোনো টেলিফিল্মের দর্শক ১০ লাখ আমি দেখিনি। আমি সত্যিই অভিভূত।’
টেলিফিল্মটির অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, ‘বুকের বা পাশে টেলিফিল্মটি থেকে খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি। এত তাড়াতাড়ি দর্শক টেলিফিল্মটি ভালোভাবে গ্রহণ করেছেন জেনে ভালো লাগছে। কাজটা অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে আমরা করেছিলাম। এখন ভালো সাড়া পেয়ে খুব ভালো অনুভূতি হচ্ছে।’
অন্যদিকে আফরান নিশো বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। বিশ্বকাপের মৌসুমে দর্শক নাটক দেখছে, এটা তার প্রমাণ। এ জন্য পুরো টিমের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। পুরা টিমকে অভিনন্দন জানাই।’
নিশো আরো বলেন, ‘রমজানে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে আমরা শুটিং করেছিলাম। যেখানে শুটিং করেছি, সেখানে বিদ্যুৎ ছিল না। জেনারেটর দিয়ে আমরা কাজ করেছি। এ ছাড়া শুটিংয়ের প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য দুইটা মাত্র দৃশ্য আমরা করতে পেয়েছিলাম। প্রডাকশনের সবাই আমরা পরিশ্রম করেছি। সবাইকে স্বাগতম। দর্শকদেরও ধন্যবাদ।’
টেলিফিল্মটিতে আফরান নিশো ও মেহজাবীন ছাড়া আরো অভিনয় করেছেন লুৎফর রহমান জর্জ, সুষমা সরকার, শেলী আহসান প্রমুখ।
টেলিফিল্মের গল্পে দেখা যায়, ফারিনের সঙ্গে আদনানের প্রথম দেখা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাওয়ার সময়। পাশাপাশি সিট তাদের। একসময় পরিচয় হয় ওদের। আদনানের আগেই নামবে ফারিন। হাত মিলিয়ে ফোন নম্বর বিনিময় করে চলে যায় ফারিন। আদনান নিজের সেই হাতটা বুকের বা পাশে রেখে মৃদু হাসে। দুজন চলে যায় যার যার বাড়িতে। আদনান অপেক্ষা করে ফারিনের ফোনের। দুদিন পর আসে সেই কাঙ্ক্ষিত ফোনকল। একসময় ফারিনকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসে আদনান। ওদের আন্তরিকতায় ফারিনও মুগ্ধ। একসময় আদনানকেও ফারিন নিয়ে আসে ওদের বাড়িতে। পরিচয় করিয়ে দেয় বন্ধু হিসেবে। ফারিনের বাবা আদনানের ওপর ভরসা করে। ওকে জানায়, সামনেই ফারিনের বিয়ে। আদনান যেন বিয়ের সময় ওদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে। হতবাক হয়ে বুকের বা পাশে হাত রেখে চলে আসে আদনান।