রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে একই নামের ধারাবাহিক নাটক ‘মধ্যবর্তিনী’। নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সোহানা সাবা। এখানে তাঁর সহশিল্পী আনিসুর রহমান মিলন।

একক নাটকেই বেশি অভিনয় করছেন সাবা। ‘মধ্যবর্তিনী’ ধারাবাহিক নাটকটিতে অভিনয় করার কথা জানিয়ে সাবা বলেন, “অনেক বছর ধরে কাজ করলেও আমার সিরিয়ালের সংখ্যা খুবই কম। পাঁচটার মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছি এবং সবগুলোই আমার ভীষণ পছন্দের। গুণগত মান ঠিক রাখতে গিয়েই সংখ্যা এত কম। তেমনি একটা ভীষণ পছন্দের সিরিয়াল ‘মধ্যবর্তিনী’। ‘মধ্যবর্তিনী’তে কাজ করার সময়ই বুঝতে পারছিলাম, চমৎকার একটি প্রোডাকশন হচ্ছে। কোনো কিছুতে কোনো কিছুর কার্পণ্য নেই, অসম্ভব ভালো স্ক্রিপ্ট। পুরো টিম, পরিচালক, গল্পও অনেক ভালো। সবকিছু মিলিয়ে চমৎকার একটা পরিবেশে কাজটা করেছি টানা চার মাস। আশা করছি, এই চমৎকার প্রোডাকশন দেখে আমার ভক্ত-দর্শকরা আশাহত হবেন না।”

আহমেদ খান হীরকের  চিত্রনাট্যে ‘মধ্যবর্তিনী’ নাটকটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা রাজু খান। নাটকটির গল্পে দেখা যায়, ‘ছকে বাঁধা নিস্তরঙ্গ জীবনে অসুস্থ শাম্মী সংসারে পূর্ণতা আনতে স্বামী ইমরানের আরেকটা বিয়ে দিয়ে নিয়ে আসে নতুন বউ। ভালোবাসার বদলে ঘৃণা, মমতার বদলে ছলনা দেওয়া নতুন বউ সন্তান নয়, শাম্মীদের উপহার দেয় ষড়যন্ত্র।’

নাটকটি সম্পর্কে নির্মাতা রাজু খান বলেন, ‘এটি একটি ফ্যামিলি ড্রামা। এতে দুঃখ-বেদনা, হাসি-কান্না সবই দর্শক পাবে। বাংলাদেশে যদি এ রকম নাটক আরো বেশি বেশি তৈরি হয় তাহলে আশা করা যায়, দর্শকরা আর বিদেশি চ্যানেলের দিকে আগ্রহী হবেন না।’

তিনি আরো বলেন, ‘নাটকটি তৈরি করতে গিয়ে গল্প এবং নাটকের প্রয়োজনে ২১টি রবীন্দ্রসংগীত নতুন করে কম্পোজিশন করে নাটকটিতে ব্যবহার করেছি, যা দর্শকদের নাটকটি দেখার ক্ষেত্রে আরো আগ্রহী করে তুলবে।’ নাটকটিতে আনিসুর রহমান মিলন ও সোহানা সাবা ছাড়াও অভিনয় করেছেন শারমিন আঁখি, ডলি জহুর, শতাব্দী ওয়াদুদ, কল্যাণ কোরাইয়া, নাবিলা প্রমুখ। নাটকটি গত ১৪ জুলাই থেকে দীপ্ত টেলিভিশনে শনিবার ও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৮টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে।