‘মানুষ পোশাক ও আচরণ দিয়ে মেয়েদের বিচার করে’
ভীম সেনা নালা মহারাজা চলচ্চিত্র বদলে দিয়েছে কন্নড় ছবির জনপ্রিয় নায়িকা আরোহী নারায়ণের জীবন। ব্যক্তিগত জীবনের মতো ছবিতেও বিদ্রোহী চরিত্র ছিল আরোহীর। নারীর জীবন ও সামাজিক চোখ নিয়েও তাঁর পর্যবেক্ষণ আলাদা। আরোহী বলেছেন, মানুষ পোশাক ও আচরণ দিয়ে নারীকে বিচার করে।
‘ভীম সেনা নালা মহারাজা’ চলচ্চিত্রটি নিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘দৃশ্যম-এর পর এটি আমার বিশেষ ছবি। অনেক ছবি ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। প্রায় আড়াই বছর পর আমি এ ছবিতে সই করি। প্রথমে একটু ইতস্তত করেছিলাম। টানা পাঁচ ঘণ্টার অডিশনের পর বুঝলাম, ছবিটিতে বৈচিত্র থাকবে এবং আমি আমার চরিত্রকে দৃশ্যায়িত করতে পারব।’
আরোহী জানান, ছবিতে তাঁর চরিত্রটি ছিল বিদ্রোহীর। সমাজ যেভাবে দেখতে চায়, সে তার একেবারেই বিপরীত। সে কোনো প্রথায় বিশ্বাস করে না। আর এটা তাঁর পরিবার পছন্দ করেনি। সে তাঁর পছন্দসই পোশাক পরে।
‘আমি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। চরিত্রটি উপস্থাপন করা আমার জন্য সহজ এবং আমি জানি এমন মেয়ের কাছ থেকে মানুষ কী আশা করে।’
বিদ্রোহী চরিত্রে অভিনয় করে বেশ মজাই পেয়েছেন আরোহী। ছবিতে এমন কিছু দেখানো হয়েছে, যা তিনি বাস্তব জীবনে দেখেননি। কিন্তু তিনি মনে করেন, ছবিতে নারীকে বলিষ্ঠ ভূমিকায় দেখাতে হবে। কারণ মানুষ পোশাক ও আচরণ দিয়ে মেয়েদের বিচার করে।
‘মানুষ খুবই ছোটখাট বিষয় আশা করে। যেমন নিরামিষভোজী হতে হবে, ব্রাহ্মণ মেয়েরা ঠিক এভাবে চলবে ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি তাঁদের মনের মতো না হয়, তখন তাঁরা বিচার করে বসে। এসব মানুষের এটা দেখতে ও বুঝতে হবে যে, আমাদের প্রত্যেকেরই আমাদের মতো করে বাঁচার অধিকার আছে।’
তবে ‘ভীম সেনা নালা মহারাজা’ ছবিতে ভেলায় চড়ার দৃশ্যে ভয় পেয়েছিলেন আরোহী নারায়ণ। জানান, একটি দৃশ্যে তাঁকে নদীতে ভেলায় চড়তে হয়। তাঁর জলভীতি আছে। তিনি টিমের সবাইকে জানিয়েছিলেন এটা। ভেলা থেকে লাফের দৃশ্যে কেউ তাঁকে সাহায্য করেননি। কারণ তাঁরা চেয়েছিলেন প্রকৃত প্রকাশভঙ্গিই যেন দর্শক দেখতে পান। তবে ভালোই হয়েছিল এতে।
জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার দুটো লাভ হয়েছিল। এক নম্বর হলো প্রকৃত প্রকাশভঙ্গি, আর দ্বিতীয়টা জলভীতি দূর হওয়া।’