‘ভেবো না, আর কখনো বিয়ে করব’
বলিউড অভিনেত্রী কালকি কোয়েচলিন মনে করেন, বিবাহ এমন একটি প্রথা, যেখানে নারীকে এখনো দুর্বল লিঙ্গের ভাবা হয়। আর এটিই বিয়ের প্রধান সমস্যা বলে মনে করেন তিনি। তাই তিনি আর কখনো বিয়ে করবেন না বলে জানিয়েছেন।
নামকরা চলচ্চিত্র নির্মাতা অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে কালকির বিয়ে হয়েছিল ২০১১ সালে। দাম্পত্য সুখকর ছিল না তাঁদের। দুই বছর আলাদা থাকার পর ২০১৫ সালে আইনগতভাবে ডিভোর্স দেন তাঁরা।
‘একবার বিয়ে করেছিলাম, তা-ও অনুরাগ বলেছিল বলে। এরপরই মানুষ অনুরাগের বউ ডাকতে শুরু করে। তারা কখনোই আমাকে কালকি বা তাঁকে কালকির স্বামী বলেনি। বিয়ে করলে মেয়েরা দুর্বল লিঙ্গের হয়ে পড়ে, এমনকী স্বামী যদি তাঁকে এভাবে দেখতে না-ও চায়। এর কারণ, সমাজ এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করেছে।’
সম্প্রতি লেখক শৈলী চোপড়া ও মেঘনা প্যান্টের বই ‘ফেমিনিস্ট রানি’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন লেখক-অভিনেত্রী কালকি কোয়েচলিন। কালকির মা-বাবা ফরাসি হলেও তাঁর জন্ম ভারতের পণ্ডিচেরিতে।
কালকি মনে করেন, একটি সম্পর্কে সততা ও স্বাধীনতা দুই-ই থাকা দরকার। কীভাবে তিনি বিয়ে থেকে বেরিয়ে এলেন এবং বিচ্ছেদের পরের জীবন নিয়েও কথা বলেন এ অভিনেত্রী। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
‘দীর্ঘদিন নিজেকে একা লেগেছিল। যেভাবে হোক ওই শূন্যস্থান পূরণ করেছি। আমি পাগলামি করে বা মাতাল হয়ে অথবা আশেপাশের মানুষজনকে নিয়ে সে শূন্যতা পূরণ করতে চাইনি। অন্তর্মুখী জীবন বেছে নিয়েছি। ঘরে পরিবারের সঙ্গে থেকেছি। ওই দিনগুলো পার করতে পেরে আমি খুশি’, বলেন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভেনেত্রী।
খোলামেলা আলাপে কালকি তাঁর সিনেমা, নারীবাদ ও বিয়ে নিয়ে কথা বলেন। বলেন, ‘সব মানুষকে সমান ভাবতে হবে এবং একে-অপরকে শ্রদ্ধা করতে হবে— এটাই নারীবাদ।’ আর বিয়ে প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভেবো না, আমি আর কখনো বিয়ে করব।’
‘মার্গারিটা ইউথ স্ট্র’, ‘দ্য গার্ল ইন ইয়োলো বুটস’ অথবা ‘ওয়েটিং’-এর মতো অজনপ্রিয় ধারার ছবি করেছেন কালকি কোয়েচলিন। আর সে কারণে তিনি খুব একটা মূল্যও পাননি। এ আক্ষেপ তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। তবে বলেছেন, তিনি তাঁর ইচ্ছেমতো কাজ করবেন। এ স্বাধীনতা তাঁর আছে।