বলিউডের বর্ষীয়ান পরিচালক সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে এবার যৌন হেনস্তার অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন ছোটপর্দার অভিনেতা ও মডেল কেট শর্মা। এর আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী সুভাষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।

অভিযোগ দায়েরের পর গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন কেট। কেটের অভিযোগ, চলচ্চিত্র নির্মাতা সুভাষ ঘাই তাঁকে জোর করে জড়িয়ে ধরে চুমুর চেষ্টা করেছিলেন। রাত না কাটালে কাজও দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছিলেন সুভাষ।

‘৬ আগস্ট তিনি আমাকে তাঁর ঘরে ডেকেছিলেন। পাঁচ-ছয়জন লোকও ছিল তাঁর ঘরে। সবার সামনেই তিনি আমাকে ম্যাসাজ করতে বলেন। এটা আমার জন্য বিশ্রী ছিল, কিন্তু জ্যেষ্ঠ হিসেবে আমি তাঁকে সম্মান করি। তাই রাজি হই।’

‘দুই-তিন মিনিট তাঁকে ম্যাসাজ করার পর আমি ওয়াশরুমে হাত ধুতে যাই। তিনি পেছন পেছন সেখানে যান। তারপর আমার সঙ্গে কিছু কথা আছে বলে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। যাহোক, তিনি আমাকে ধরে আলিঙ্গন ও চুমুর চেষ্টা করেন,’ বলেন কেট শর্মা।

যেতে দেওয়ার জন্য কেট শর্মা অনুরোধ করলে ‘খলনায়ক’ পরিচালক তাঁকে হুমকিও দেন।

‘তাঁকে বলেছিলাম, আমি যেতে চাই। তখন তিনি আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, যদি আমি তাঁর সঙ্গে রাত না কাটাই, তবে তিনি আমাকে অভিষেক করাবেন না,’ যোগ করেন কেট।

গত বৃহস্পতিবার মহিমা কুকরেজা নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারীর উদ্ধৃতি দিয়ে সুভাষ ঘাইয়ের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ আনেন। ওই নারীর অভিযোগ, ঘাই তাঁকে আপত্তিকরভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পরে তাঁকে নিজের মদ খেতে দেন। ওই নারী আরো বলেন, এরপর ঘাইয়ের জন্য সর্বদা সংরক্ষিত এক হোটেলে তাঁকে নিয়ে যান ও সেখানে ধর্ষণ করেন।

তবে পরিচালক সুভাষ ঘাই তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ নাকচ করেছেন।

এক বিবৃতিতে ৭৩ বছর বয়সী সুভাষ ঘাই বলেন, “‘কোনো সত্য বা অর্ধসত্য ছাড়াই অতীতের গল্প টেনে’ এনে সুপরিচিত কারো বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘নিশ্চিতভাবে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আমি প্রত্যাখ্যান করছি’”, বলেন এ পরিচালক।

গত মাসে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্তর যৌন হেনস্তার অভিযোগের পর ‘হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন’ ছড়িয়ে পড়ে বলিউডে। এরপর বেশ কয়েকজন নারী হেনস্তার অভিযোগ আনেন। তাঁদের মধ্যে বিকাশ বেহল, অলোক নাথ, রজত কাপুর, সাজিদ খানও রয়েছেন। সূত্র : ডেকান ক্রনিকেল ও হিন্দুস্তান টাইমস।