‘মেঘকন্যা’র গল্প প্রশংসিত
ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণে দিনরাত থেমে থেমে বৃষ্টি পড়ছিল। তাই সিনেমা হলে তেমন দর্শকের দেখা মেলেনি গত সপ্তায়। তারপরও মোটামুটি ছবিটি চলেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এ ছাড়া ছবিটির গল্পেরও প্রশংসা করেছেন হল ফিরতি কয়েকজন দর্শক। গত শুক্রবার দেশের আটটি সিনেমা হলে মুক্তি পায় মিনহাজ অভি পরিচালিত, ফেরদৌস-নিঝুম রুবিনা অভিনীত ‘মেঘকন্যা’ ছবিটি।
মধুমিতা সিনেমা হলের সহকারী ম্যানেজার আবদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘গত শুক্রবার থেকে ছবিটি আমাদের সিনেমা হলে চলছে। শুক্রবার সকালের শোগুলোতে তেমন দর্শক না এলেও সন্ধ্যার শো থেকে দর্শক এসেছে। প্রথম দুদিন ডিসি ছিল হাউজফুল। পরের দুদিন ছিল মোটামুটি। আসলে নিম্নচাপের কারণে দর্শক সিনেমা হলে কম আসছে।’
ছবিটি দেখে দর্শক কী বলছেন জানতে চাইলে আবদুর রহমান বলেন, ‘আসলে ছবিটি ভালো হয়েছে। আমি নিজেও ছবিটি দেখেছি। দর্শকও ছবির গল্প নিয়ে প্রশংসা করেছেন। একেবারেই গল্পনির্ভর একটি ছবি এটি। দেখে মনে হয়েছে মৌলিক গল্পের দেশি ছবি। আমি মনে করি সাধারণ দর্শকদের এমন ছবি দেখা উচিত, তা না হলে আমাদের দেশের চলচ্চিত্র মুখ থুবড়ে পড়বে।’
ছবির কাহিনীতে দেখা যায়, নিজের সন্তানের পরিচয় দিতে পারছে না মায়া (নিঝুম রুবিনা)। সে কোনোদিন মিথ্যা কথা বলে না। সন্তানের বাবার পরিচয় দিতে পারছে না সে। কারণ, ফাহিম (ফেরদৌস) মেয়েকে গর্ভে রেখেই দেশের বাইরে চলে যায়। এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ করে না। মেয়েকে বাধ্য হয়ে আশ্রমে দিয়ে দেয় মা। আশ্রমে মায়া মাঝেমধ্যেই সন্তানকে আদর করতে আসে। এ ধরনের টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে গল্পের কাহিনী।
‘মেঘকন্যা’ প্রযোজনা করেছে জয়া মিডিয়া প্রডাকশন। ছবিটির চিত্রনাট্য ও কাহিনী লিখেছেন পরিচালক নিজেই। সংলাপের কাজ করেছেন গাজী রাকায়েত। একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সুচরিতা।