প্রধানমন্ত্রীর বায়োপিকে অভিনয় করতে চান জয়া!
হুমায়ূন আহমেদের ‘দেবী’ উপন্যাস এখন রূপান্তরিত হয়েছে বড় পর্দায়। আর ‘দেবী’র মূল রানু চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। শুধু অভিনয়ই নয়, এই ছবিটির মধ্য দিয়ে প্রথম প্রযোজনার খাতায় নাম লিখিয়েছেন তিনি।
গত শুক্রবার সারা দেশে মুক্তি পেয়েছে অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’। মুক্তির আগেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে জয়া বলেছিলেন, ‘আপনারা যদি হলে দেবী দেখতে আসেন, তাহলে আমরা সফল হবই।’ সাফল্য তাঁর দরজায় এখন কড়া নাড়ছে। কারণ, দেবী মুক্তির পর থেকেই সিনেমা হলে দর্শকের ভিড় এর বড় প্রমাণ। ছবিটি দেখার জন্য একদিন আগেই কাটতে হচ্ছে টিকিট। হচ্ছে হাউসফুল। এ যেন আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন জয়া।
এখন জয়ার সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা কাটছে সিনেমা হলে ঘুরে ঘুরে। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য শহরের হলগুলোতে ঢুঁ মারছেন তিনি ক্লান্তিহীনভাবে। দর্শকও তাঁকে সিনেমা হলে পেয়ে প্রকাশ করছেন উচ্ছ্বাস। শুধু ঢাকা শহরেই নয়, গতকাল শনিবার জয়দেবপুর, টঙ্গী ও ময়মনসিংহের হলগুলোতে গিয়েছেন জয়া। কথা দিয়েছেন আবারও আসবেন।
প্রথমবারের মতো প্রযোজনা করেছেন, তাই একটু চাপ তো আছেই। বললেন, ‘একটু তো চাপ ছিলই। ছোটবেলায় দেবী উপন্যাস পড়ার পর থেকেই আলাদা একটা মোহ কাজ করত আমার। মনে মনে ভাবতাম, কেউ যদি দেবী বানাত তাহলে রানু চরিত্রে অভিনয় করতে চাইতাম। কিন্তু কেউ বানাচ্ছিল না দেবী। তাই নিজেই সাহস করে প্রযোজনা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কাজটা করা সহজ ছিল না। একের পর এক চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে আমাকে। করতে হয়েছে সংগ্রাম।’
উপন্যাসের দেবী আর চলচ্চিত্রের দেবীর মধ্যে ফারাক আছে বলে জানালেন জয়া। বললেন, ‘উপন্যাসে পাঠক দেবী পড়ে যে স্বাদ পেয়েছেন, চলচ্চিত্রেও পাবেন, তবে সেটা একরকম নাও হতে পারে। কারণ, সাহিত্যের ভাষা আর লাইট-ক্যামেরার ভাষার মধ্যেই রয়েছে পার্থক্য।’
‘দেবী’ উপন্যাসের প্রাণ মিসির আলী। সেই মিসির আলী হয়ে পর্দায় হাজির হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এই চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন প্রযোজক জয়া আহসান। বললেন, ‘আইকনিক চরিত্র নিয়ে কাজ করতে গেলে শুরুতে ভাবনা আসে অনেক। চিন্তা হয়। আমারও হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত চঞ্চল চৌধুরীকে পারফেক্ট মনে হয়েছিল। দেখুন, দেবী অন্য আট-দশটা ছবির মতো নয়। তবে বিনোদন অন্য ছবি দেখে আপনারা যেমন পান, আশ্বস্ত করছি এই ছবিটা দেখেও পাবেন।’
‘বিসর্জন’ ছবির ‘পদ্মা’ চরিত্রের কথা মনে আছে? যে চরিত্রে অভিনয় করে দুই বাংলাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন জয়া! এই ছবির সিক্যুয়েল ‘বিজয়া’তেও দেখা যাবে বিসর্জনে সবার মন জয় করা এই অভিনেত্রীকে। তবে আপাতত তিনি ‘দেবী’ দিয়ে দর্শকের মন জয় করতে ব্যস্ত।
ফেসবুকে আজ জয়া লিখেছেন, ‘দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে দেবী!’ এত ভালোবাসা পেয়েও আরো পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা গুণী এই অভিনেত্রীর। কথায় কথায় কারো বায়োপিকে অভিনয় করার ইচ্ছে আছে কি না জানতে চাইলে নির্দ্বিধায় জয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বায়োপিকে অভিনয় করতে চাই। তাঁর শৈশব, কৈশোরবেলার ঘটনাগুলো আমাকে খুব টানে।’ এ ছাড়া আরো অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয়ের ইচ্ছা রয়েছে এই অভিনেত্রীর।