মি টুর মধ্যেই ‘হাউসফুল-৪’ শুটিং সেটে যৌন হেনস্তা!
ভারতজুড়ে চলমান নিপীড়নবিরোধী ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলনের মধ্যেই যৌন হেনস্তার অভিযোগ এলো। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ‘হাউসফুল-৪’ ছবির শুটিং সেটে হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক অনুজ নারী শিল্পী।
সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে (এএনআই) ঘটনার বর্ণনা করে ভুক্তভোগী বলেন, তিনি ওই সিনেমার সেটে এক সহকর্মীর সঙ্গে বসেছিলেন। এমন সময় পবন শেঠি, সাগর ও অন্য চারজন সেখানে যান এবং তাঁর বন্ধুর সঙ্গে অসদাচরণ শুরু করেন।
ক্রমেই তা নোংরা পর্যায়ে চলে যায়। দুর্বৃত্তরা অভিযোগকারিণীকে ধরে ফেলেন এবং প্রতিবাদ করলে তাঁকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেন।
‘সহকর্মীর সঙ্গে বসেছিলাম। সঙ্গে চারজনসহ পবন শেঠি ও সাগর সেখানে আসেন এবং জোর করে আমার সহকর্মীকে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। যখন আমি তাঁদের থামাতে চেষ্টা করি, শেঠি আমাকে ঠেলে ফেলে দিতে শুরু করেন এবং আমার... স্পর্শ করেন,’ এএনআইকে বলেন ওই শিল্পী।
‘এর পর আমি চিৎকার শুরু করলে প্রডাকশনের লোকজন এবং অভিনেতা অক্ষয় কুমার ও রিতেশ দেশমুখ বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাঁরা আমাদের পুলিশে কল করার পরামর্শ দেন। প্রডাকশনের লোকজন ও অন্যদের দেখে দুর্বৃত্তরা দৌড়ে পালিয়ে যায়,’ যোগ করেন ওই নারী।
এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ‘হাউসফুল’ ছবির চতুর্থ কিস্তি আলোচনায় আসে, যখন বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার ও পরিচালক সাজিদ খান খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে।
গত মাসে নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে বলিউডের সাবেক অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তর যৌন হেনস্তার অভিযোগের পর বি-টাউনে শুরু হয় মি টু ঝড়। এর পরই বেরিয়ে আসে বলিউডের রথী-মহারথীদের নাম। বিকাশ বেহল, অলোক নাথ, রজত কাপুর, করিম মোরানি, সাজিদ খানসহ অনেক তারকার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে।
যৌন হেনস্তার অভিযোগের পর ‘হাউসফুল-৪’ থেকে সরে দাঁড়ান সাজিদ খান। সরে দাঁড়ান নানা পাটেকারও। পরে সাজিদের স্থলে পরিচালক হিসেবে ফরহাদ সামজির নাম ঘোষণা করা হয়। সূত্র : ডিএনএ।