সুদিনের আশায় সোনা
ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোনা মহাপাত্র। আর দুই জনপ্রিয় শিল্পী কৈলাশ খের ও অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। সোনা বলেছেন, হ্যাশট্যাশ মি টু গল্প বলার আগে তিনি ভাবেননি, এটা তাঁর সংগীত-পেশায় কোনো প্রভাব ফেলবে কি না। আর এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, দেশের ভবিষ্যতের জন্যই হেনস্তা নিয়ে মুখ খোলার দরকার ছিল।
সোনা মহাপাত্র জি টিভি সম্প্রচারিত গানের রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’র বিচারক হচ্ছেন। গত বুধবার এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ওসব কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তাঁর সহ-বিচারক ওয়াজিদ খান ও শেখর রবজিয়ানি।
‘পিয়া সে ন্যায়না’ গায়ক সোনা মহাপাত্রই প্রথম, যিনি ভারতের সংগীত জগতের বড় তারকা কৈলাশ ও অনুর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন। এর পর অবশ্য আরো অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
এর আগে সোনা মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে বেশ কয়েকটি টুইট করে অভিযোগ করেন, কৈলাশ তাঁর কাছ থেকে আপত্তিকরভাবে ‘যৌন-সুবিধা’ চেয়েছিলেন। অনুর বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তাঁর।
বেশ কয়েকজন নারী হেনস্তাকারীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছেন। কয়েকটি মামলার তদন্তও চলছে। আইনগত পদক্ষেপ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে সোনা বলেন, ‘সত্যটা হলো, চলমান প্রচারাভিযান বহু মানুষকে সোচ্চার করেছে। এ আন্দোলন দেশজুড়ে চলছে।’
‘নারীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে ভালো পুরুষেরাও সমাজের বদল দেখতে চাইছেন। তো, আমিই একা নই, যে এ নিয়ে কথা বলছে। আমি মনে করি, গণমাধ্যমসহ যে কেউ এ ধরনের মামলা করতে পারে, কারণ এর জন্য ঘটনার সাক্ষীর প্রয়োজন নেই। সামাজিক মাধ্যমে আমি বলার পর অনেকে তাদের অভিজ্ঞতা বলতে সাহস দেখিয়েছে,’ বলেন সোনা।
সোনা বলেন, নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আগে তিনি গানের ক্যারিয়ার নিয়ে কিছুই ভাবেননি।
“জি টিভি ও ‘সা রে গা মা পা’কে ধন্যবাদ জানাই, যারা আমাকে তাদের শোর বিচারক হওয়ার সুযোগ দিয়েছে, কারণ যখন আমি আমার গল্প বললাম, গান বা মিউজিক ক্যারিয়ারে তা প্রভাব ফেলবে কি না চিন্তাও করিনি। কারণ দেশের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তা বলেছি,” বলেন মহাপাত্র।
সোনা বলেন, ‘আমরা সবাই চাই, আমাদের দেশের উচিত ইতিবাচক দিকে এগিয়ে যাওয়া এবং সমাজ ও সিস্টেমের আবর্জনাগুলো ছুড়ে ফেলে দেওয়া। এমন এক সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা করছি, যেদিন আমরা সত্যিকার অর্থেই উদযাপন করব এবং আমি মনে করি, সেই সুদিনের জন্যই আমরা ক্ষণ গুনছি।’
‘সা রে গা মা পা’ নিয়ে সোনা বলেন, ‘আমাদের অনেক পারফারমার আছে, যেমন গজল, ধ্রুপদী, লোকসংগীত, পপ ইত্যাদি গাইবে অনেকে। এ শোর জন্য আমরা বয়সসীমা রাখছি না। আমি মনে করি, যদি একই ধরনের গায়কী হয়, তা হলে তা একঘেঁয়ে লাগবে আর তা ছাড়া আমাদের দেশে অনেক বৈচিত্র্য আছে।’ সূত্র : বলিউড লাইফ।