একসঙ্গে দুটো কাজ করা চ্যালেঞ্জিং : শিলা
‘অভিনয় ও ফ্যাশন ডিজাইনিং দুটোর কাজ আলাদা। একসঙ্গে এ দুটো কাজ করে আমার দারুণ লাগছে। যদিও একসঙ্গে দুটো কাজ করা চ্যালেঞ্জিং।’ কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন তরুণ প্রজন্মের অভিনেত্রী সৈয়দা শিলা।
এস এম সালাহ্ উদ্দিনের পরিচালনায় রূপকথার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘মায়া মসনদ’ ধারাবাহিক নাটকে যোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। নাটকটির পোশাক পরিকল্পনাও তাঁর। এ বিষয়ে পরিচালক এস এম সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘এই নাটকটি অন্য আট-দশটা নাটকের মতো নয়। আমরা এখানে রাজপরিবার দেখিয়েছি। তাই পোশাকগুলো ভিন্ন রকম হবে, সেটাই স্বাভাবিক। নাটক শুরুর আগে আমরা কিছু পোশাক যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনেছি। এটা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। পরে সৈয়দা শিলাকে এর দায়িত্ব দিই। কারণ ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে অনেক আগে থেকেই শিলা পারদর্শী। দায়িত্বের সঙ্গে কাজটি ভালোভাবে করছেন শিলা। এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে নাটকটির পোশাক।’
অন্যদিকে শিলাও কাজটি করে সন্তুষ্ট। বললেন, “আমি এখন একটি মাত্র ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করছি। আর কোথাও অভিনয় করছি না। বলতে পারেন, আমার ব্যস্ততা এখন শুধু ‘মায়া মসনদ’ নিয়ে। তাই অভিনয় এবং নাটকটির পোশাক পরিকল্পনার কাজ মন্দ লাগছে না।”
যোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করতে কেমন লাগছে—জানতে চাইলে উত্তরে শিলা বলেন, “অসাধারণ। রূপকথার গল্প পড়তে যেমন আনন্দ লাগে, তেমনি অভিনয় করতেও আনন্দ লাগছে। এই চরিত্রের অভিনয়ে অনেক কষ্টও আছে। কয়েক ঘণ্টা একটানা দাঁড়িয়ে থেকে অভিনয় করতে হয়। তারপরও ভালো লাগছে। অ্যাকশন দৃশ্যে কাজ করার মজা অন্য রকম। এ ছাড়া আমার চরিত্রটিতে অনেক মোড় আছে। আমার একটা বোন আছে, যে কি না পরী। ঘটনাক্রমে আমরা দুজন আলাদা হয়ে যাই। এখানেই অনেক মজা (হাসি)।”
তারকাবহুল ‘মায়া মসনদ’ নাটকটি লিখেছেন অরিন্দম গুহ। এর পর্ব পরিচালক আতিকুর রহমান বেলাল ও দৃশ্য পরিচালনা করেছেন মাকসুদুল হক ইমু। ভিএফএক্স সুপারভাইজার তানিম শাহরিয়ার। নাটকটির ১৭তম পর্ব এনটিভিতে আজ রাত ৮টা ২০ মিনিটে প্রচারিত হবে।
তারকাবহুল নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সোহেল রানা, সাবেরী আলম, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, অবিদ রেহান, শশী, নিলয় আলমগীর, নমিরা মৌ, মৌসুমী নাগ, মোমেনা চৌধুরী, ইলোরা গহর, শম্পা রেজা, শিল্পী সরকার অপু প্রমুখ।
নাটকটির গল্পে দেখা যায়, মসনদ মানে আধিপত্য, কর্তৃত্ব, প্রভাব ও ক্ষমতা। হয়তো এ কারণেই যখন ঈশাণ বাংলার সুলতান আর্সনাল তাঁর রাজ্যের দায়িত্বভার ত্যাগ করতে প্রস্তুত হন তখন তার জ্যেষ্ঠপুত্র আথিয়ার কৌশলে অন্য দুই ভাই দাবির ও ফাহিমের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় সেই মসনদ। কিন্তু চরম মানসিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হতে হয় তাকে। একদিকে যখন আথিয়ারের ছোট ভাই ফাহিম প্রস্তুত হয় মসনদ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য, তখন অন্যদিকে মসনদের অন্যতম শত্রু হয়ে দাঁড়ায় দাবিরের কন্যা। ভবিষ্যতের এই শত্রুর হাত থেকে মসনদ রক্ষা করতে দাবির ও তার স্ত্রীর উপর চরম আঘাত হানতে প্রস্তুত হয় আথিয়ার। কিন্তু এক অদ্ভুত মায়াজালের টানে দাবিরের দুই কন্যা তাদের জন্মের আগেই পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে চলে যায় দুই ভিন্ন জীব বলয়ে।