নায়িকাদের মধ্যে সেই সারল্য কই, আক্ষেপ শক্তির
নব্বইয়ের দশকের হিন্দি চলচ্চিত্রে নেতিবাচক চরিত্রের জন্য বিখ্যাত শক্তি কাপুর, যিনি হালের সেনসেশন শ্রদ্ধা কাপুরের বাবা। শক্তি বলেছেন, তাঁর সময়ের খলনায়কদের সঙ্গে এখনকার খলনায়কদের মেলাতে পারেন না তিনি। হালের নায়িকাদের মধ্যে তিনি সেই সারল্য খুঁজে পান না বলেও আক্ষেপ এ বর্ষীয়ান অভিনেতার।
‘আমাদের সময়কার মতো সেই খলনায়ক এখন আর কই। প্রাণ, আমজাদ খান, প্রেম চোপড়া ও অমরেশ পুরির অস্তিত্ব আর নেই। তাঁদের নিজস্ব স্টাইল ছিল। খলনায়করা সব সময়ই কৌতূহলের অংশ ছিল, কিন্তু এখন সেই দিন আর নেই,’ বলেন শক্তি কাপুর।
বিনোদন দুনিয়ায় প্রবেশে দীর্ঘদিন লড়াই করতে হয়েছে শক্তি কাপুরকে। আর্থিক অনটনের মধ্যেও ছিলেন তিনি। সেই দিনগুলোর কথা এখনো স্মরণ করেন এ অভিনেতা।
“আমি ৬০০টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। এত সুযোগ পাওয়ায় আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। সুনীল দত্ত, ফিরোজ খান ও বিনোদ খান্না আমার দুর্দিনে সাহায্য করেছেন। যখন মুম্বাইয়ে আসি, কোনো কাজ ছিল না। সুনীল দত্ত আমাকে মাসে মাসে দেড় হাজার রুপি করে দিতেন। টানা পাঁচ বছর আমি বিনোদ খান্নার ঘরে থেকেছি। এসব মানুষের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। এক গাড়ি দুর্ঘটনায় ফিরোজ খানের সঙ্গে আমার দেখা হয়। সে সময় তিনি আমাকে প্রথম ‘কুরবানি’ ছবিতে কাজের সুযোগ দেন,” বলেন শক্তি।
নিজের মেয়ে শ্রদ্ধা কাপুরকে প্রশংসায় ভাসান শক্তি কাপুর। বলেন, তাঁর চেহারায় সেই সারল্য আছে, যা তিনি অভিনেত্রীদের মধ্যে দেখতে চান।
“হালের নায়িকাদের মধ্যে সারল্য খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমনটা মধুবালা, মীনা কুমারী ও মালা সিনহার ভেতর ছিল; তেমনটা আর কোনো অভিনেত্রীর মধ্যে দেখতে পাই না। বর্তমানের অভিনেত্রীদের মধ্যে শ্রদ্ধা ও আলিয়ার (ভাট) ভেতরই কেবল সেই সারল্য আছে। তারা খুব ভালো কাজ করছে। বিশেষ করে ‘আশিকি-২’ ছবিতে মীনা কুমারীর সেই সারল্যকে ফিরিয়ে এনেছে শ্রদ্ধা,” বলেন শক্তি কাপুর।
শক্তি কাপুরকে পরবর্তী সময়ে গোবিন্দর সঙ্গে ‘রঙ্গিলা রাজা’ চলচ্চিত্রে দেখা যাবে। সূত্র : ডেকান ক্রনিকল।