নীতু এখন একা, একদম একা!
একসময় দুজনের এক আত্মা ছিল। সেই প্রেমের জোয়ারে ভাসত বি-টাউনের ভক্তরা। তারপর হঠাৎই ছিঁড়ে গেল সেতারের তার। বুকে বুক মেলানো যুগল পিঠদর্শনও ছেড়ে দিলেন, এমন নয়। একটু-আধটু যোগাযোগ ছিল। গুঞ্জন উঠেছে, ছেঁড়া বন্ধন জোড়া লাগাতে এখন প্রস্তুত ‘জিসম-২’ খ্যাত অভিনেতা রণদীপ হুদা ও অভিনেত্রী-প্রযোজক নীতু চন্দ্রা।
জোর গুঞ্জন রয়েছে, রণদীপ হুদা ও নীতু চন্দ্রা এখন বিয়ে করে মার্কিন দেশে থিতু হতে চাচ্ছেন। কিন্তু নীতু এ গুঞ্জনকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন। বললেন, অভিনেতা হিসেবে রণদীপ অসাধারণ।
শোনা যাচ্ছে, রণদীপ হুদার সঙ্গে ফের গাঁটছড়া বাঁধছেন? নীতুর উল্টো প্রশ্ন, ‘কার কাছ থেকে শুনলেন?’ আদেশ শ্রীবাস্তবের ছেলে অভিতেষের ‘ম্যায় হু তেরা’ গানের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এক মাতাল বলেছেন, এ কথা বলা হলে নীতুর জবাব, ‘ওহ! কিন্তু তিনি মাতাল তো ছিলেন, ঠিক না?’
হেসে নীতু বলেন, ‘আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই, রণদীপ অদ্ভুত অভিনয় করে। এখানে সে খুব ভালো করছে। কেন সে আমেরিকায় উড়ে গিয়ে থিতু হবে? আমি সত্যিই তার শুভার্থী। আমরা আলাদা হওয়ার পর কিন্তু নোংরামি করিনি। আমরা সংস্পর্শে আছি। মাঝেমধ্যে আমরা কথা বলি। সম্পর্ক ভাঙা মানেই জীবন শেষ নয়; সাবেক প্রেমিক বন্ধু হতে পারে। এবার আপনার প্রশ্নের উত্তর পেলেন?’
এখনো রণদীপের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা মনে পড়ে নীতুর। ছবি : সংগৃহীত
তার মানে জোড়া লাগছে...
“দেখুন, আমি ফেরায় বিশ্বাসী নই। ভাঙা সম্পর্ক ফের একই আবেগ-অনুভূতি নিয়ে জোড়া লাগে না। তো, কেন্দ্রটা কী? আপনাকে এটা বলা দরকার, আমি এখন খুব মানসম্পন্ন কাজ করছি। ‘রাম লীলা’ খ্যাত সংগীতশিল্পী পায়েল দেবের মিউজিক ভিডিওতে কাজ করছি, যেটা সনি মিউজিক থেকে বের হচ্ছে। সুর করেছেন রাজ আশো, কোরিওগ্রাফার মুদাশ্বর। ১০ ডিসেম্বর আরেকটি মিউজিক ভিডিও বের হচ্ছে, জি মিউজিকের ব্যানারে। অনুপমা রাগের সুরে গেয়েছেন রেখা ভরদ্বাজ। এ ছাড়া আমি তিনবারের চ্যাম্পিয়ন পাটনা পাইরেটসের শুভেচ্ছাদূত। জ্যাকি শ্রফের সঙ্গে এর মধ্যেই আমার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দ্য প্লেবয় মিস্টার সাহানে’ মুক্তি পেয়েছে, যেটি মিলিয়নের বেশি দর্শক দেখেছেন। ‘বেটি’ নামে আরেকটি ছবিও বেশ ভালো করেছে। ছয় বছরের বাচ্চার কাহিনী নিয়ে এক ছবি প্রযোজনা করছি। আমি আমার ডানা পুরো বিশ্বে মেলতে শুরু করেছি এবং বেশ ভালোই আছি। এ ছাড়া আমার মার্শাল আর্ট থিয়েটার থেকেও ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছি। বলতে ভুলে গেছি, একটি কোরিয়ান চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব পেয়েছি। আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নিয়েও আমি গর্বিত। ‘মিথিলা মাখন’-এর জন্য প্রথমবারের মতো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি। অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক হওয়া মেয়েদের মধ্যে এটা প্রথম। হ্যাঁ, আমাদের মধ্যে বড় বন্ধন ছিল। অনেক দিনের ছিল,” টানা বলে যান নীতু।
আপনি তা বিশ্বাস করেন?
‘বিশ্বাস তো করতেই হবে। তবে হ্যাঁ, আবার বলছি, রণদীপ ও আমি আর এক হচ্ছি না। যা হয়েছে, হয়েছে। সম্পর্ক ভাঙাটা দুর্ভাগ্যজনক ছিল, আমি এখনো সেই মধুর দিনগুলোকে স্মরণ করি। ফের তাঁর সঙ্গে ফিরব, বিয়েটিয়ে করব... তা করলে লুকাব কেন? আর আমাদের কেনই বা আমেরিকায় গিয়ে ঘর বাঁধতে হবে? আমরা কি এমন ভুল করতে পারি? দয়া করে রণদীপ ও আমার জোড়া লাগা নিয়ে কল্পনা বন্ধ করুন। সবকিছুরই একটা শেষ আছে, মনে হয়, আমাদের সম্পর্কেরও তাই হয়েছে। আশা করি, ব্যক্তিগত জীবনে ফের প্রবেশ করব। কিন্তু এখনো আমি একা, একদম একা!,’ দীর্ঘশ্বাস ফেললেন নীতু।
এই একাকিত্বই রণদীপ হুদার কাছে নীতু চন্দ্রাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাক, ভক্তরা তো এটা চাইতেই পারেন! সূত্র : স্পটবয় ডটকম।