যেদিন হৃতিক রোশন ও সুসান খানের বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত এলো, পুরো পৃথিবীই দারুণ আহত হয়েছিল। ২০১৩ সালে ১৪ বছরের সংসারে ছেদ ঘটে বলিউডের জনপ্রিয় এ যুগলের। এর এক বছর পর আইনগতভাবে তাঁদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। তবুও তাঁরা পরস্পরের পাশে ছিলেন, একে অপরের প্রয়োজনে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। আজো তাঁরা পরস্পরের ঘনিষ্ঠ, আত্মার আত্মীয়।

আইনগত বিচ্ছেদ হলেও হৃদয়ের বিচ্ছেদ হয় না। জীবনে উত্থান-পতন থাকেই। সেসব মেনে নিয়েই হৃতিক-সুসান ফের একত্র হন। তাঁদের দুই আদুরে সন্তান হৃহান ও হৃধানকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখা যায় এ যুগলকে। একসঙ্গে উদযাপন করেন বিভিন্ন উৎসব, অনুষ্ঠান। তবুও যে আইনগতভাবে তাঁরা আলাদা! হৃতিক মনে করেন, ফের দুজনের এক হওয়া ‘সম্ভব’।

সম্প্রতি সাবেক স্ত্রী সুসান খানের উদ্দেশে একটি আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন হৃতিক রোশন। বলেছেন, ‘সুসান, আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি।’ সেই বার্তায় স্পষ্ট, সুসানকে ফিরে পাওয়ার জন্য কী দীর্ঘ অপেক্ষা আর আকুতি হৃতিকের!

সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একাধিক ভিডিও শেয়ার করেছেন হৃতিক। যেখানে তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে মায়ের উদযাপনের দৃশ্য দেখা যায়। সন্তানদের ছবি তুলছেন মা। আর সেসব স্মরণ করে ব্যথাতুর সুসানের সাবেক স্বামী।

‘এই হচ্ছে সুসান, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু (আমার সাবেক স্ত্রীও) আমাকে ও আমাদের সন্তানদের একটি মুহূর্ত বন্দি করছে। এই মুহূর্তটি আমাদের বাচ্চাদের গল্প বলে। মত-পথের ভিন্নতার এই পৃথিবীতে এখনো দুজনের এক হওয়া সম্ভব। মানুষ হিসেবে তুমি ভিন্ন কিছু চাইতেই পারো এবং এরপরও থাকতে পারো অভিন্ন। আর ঠিক এখানেই আরো বেশি যৌথতা, সহনশীলতা, সাহস ও ভালোবাসাময় পৃথিবী। সবকিছু শুরু হতে পারে ঘরে,’ সুসানের উদ্দেশে হৃতিকের এই বার্তা।

এই বার্তার মধ্যেই টের পাওয়া যায় কত দীর্ঘশ্বাস লুকানো হৃতিকের হৃদয়ে। হ্যাশট্যাগ দিয়ে তিনি আরো লেখেন, ‘অবমুক্ত হও, সাহসী হও, ভালোবাসার শিল্প, সহনশীলতা, উৎসাহ, প্রাচুর্য, ভয়ের চেয়ে ভালোবাসা বড়, চিরদিনের আবিষ্কারক, সন্তানেরাই ভবিষ্যৎ, ঐকতান।’

ভিডিওতে দেখা যায়, সৈকতে হৃতিক ও তাঁর সন্তানেরা মজা করছে আর ছবি তুলছেন সুসান। রোমাঞ্চকর ভ্রমণ ও খেলা খুব প্রিয় হৃতিকের। মাঝেমাঝেই দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন। সম্প্রতি জলের তলদেশে সন্তানদের সঙ্গে স্কুবা ডাইভিং উপভোগের দৃশ্য শেয়ার করেছেন হৃতিক।

বিহারের বিখ্যাত গণিতবিদ আনন্দ কুমারের জীবনীভিত্তিক ছবি ‘সুপার থার্টি’তে দেখা যাবে হৃতিক রোশনকে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। শুটিং চলাকালে বেশ কয়েকবার দেখা যায় তাঁকে। তবে এ ছবির পরিচালক বিকাশ বেহলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠায় বিতর্ক শুরু হয়। এ ছাড়া স্বয়ং আনন্দ কুমারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছে তাঁরই কয়েকজন ছাত্র। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ‘সুপার থার্টি’ আর বায়োপিক হচ্ছে না, এটা হবে সাধারণ এক মানুষের গল্প। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।