মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে দরকার প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার। কিন্তু প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা আমাদের দেশে অনেকটাই কম। তারপরও নির্মাণ হচ্ছে চলচ্চিত্র। তা হলে কি পিছিয়ে যাচ্ছে দেশি চলচ্চিত্র? বিষয়টি মানতে নারাজ ডিওপি (ডিরেক্টর অব ফটোগ্রাফি) সাইফুল শাহীন। তিনি মনে করেন, আমাদের চলচ্চিত্র এগিয়ে যাচ্ছে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী সবকিছুই করা সম্ভব।

সাইফুল শাহীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আসলে আমাদের দেশি চলচ্চিত্র এখন অনেকটাই এগিয়ে যাচ্ছে। মাঝখানে আমাদের দেশে টেকনিক্যাল সাপোর্ট ছিল না বা কম ছিল। কিন্তু চলচ্চিত্রের অবস্থা পাল্টাচ্ছে। এফডিসিতে যেমন ভালো কিছু ক্যামেরা আছে, তেমনি বাইরের কিছু প্রতিষ্ঠানও ক্যামেরা নিয়ে এসেছে। এমনকি আমাদের দেশি ছবিগুলো প্রশংসিত হচ্ছে। ‘পোড়ামন ২’ ছবিতে এমন বেশ কিছু শট আছে, যা দেখে আমাকে অনেকেই ফোন করেছেন, ধন্যবাদ দিয়েছেন। এখন সিনেমা হলে চলছে চলচ্চিত্র ‘দহন, সেটিও সবাই পছন্দ করছেন। সবাই বলেন, জাজ মাল্টিমিডিয়া ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। অথচ এই জাজের ১৯টি ছবির ডিওপি হিসেবে আমি কাজ করেছি। তা হলে আমরা পিছিয়ে কোথায়?”

আমাদের দেশে প্রযুক্তির ব্যবহার জানে এমন লোক কি আছে? উত্তরে শাহীন বলেন, ‘টেকনোলজি না থাকলে পারসন থাকবে কীভাবে। আমাদের দেশে যখন টেকনোলজি আসা শুরু করেছে, আমরা তো তখন থেকেই কাজ করছি। তবে হ্যাঁ, আমাদের দেশে কাজ শেখার জায়গা কম। আমি টেকনোলজি নিয়ে আরো ভালো কিছু শিখেছি তামিল ও বোম্বের টেকনিশিয়ানদের কাছ থেকে। মাঝে বেশ কয়েকটি যৌথ প্রযোজনার ছবিতে কাজ করতে পেরেছি। সেখানে  তামিল ও বোম্বের টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। সেখানে আমি দেখেছি যে কলকাতার টেকনিশিয়ানরাও কাজ করছেন তালিম ও বোম্বের টেকনিশিয়ানদের নিয়ে। কাজ করতে করতে তাঁরাও কাজ শিখেছেন।’

চিত্রনাট্য অনুযায়ী সবকিছুই করা সম্ভব জানিয়ে শাহীন বলেন, ‘আমরা তো কাজ করছি এবং প্রশংসাও পাচ্ছি। আমি মনে করি, সব ধরনের কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত। আমরা কাজ করি চিত্রনাট্য অনুযায়ী। আমার মনে হয়, চিত্রনাট্য যদি আরো সমৃদ্ধ হয়, তা হলে আমাদের চলচ্চিত্র আরো কিছু করা সম্ভব।’