“‘ডি-টুয়েন্টি’র প্রথম পর্বের সাড়া ভালো”
“আগে নাটক প্রচারিত হলে সবাই ফোন করে শুভেচ্ছা জানাত। ভালো-মন্দ বলত। কিন্তু এখন চিত্র পাল্টে গেছে। ফেসবুকে সবাই মন্তব্য করে। ইউটিউবে ভিউ থেকে বোঝা যায় কত দর্শক নাটকটি দেখছেন। ‘ডি-টুয়েন্টি’ নাটকটির প্রথম পর্বের সাড়া ভালো পেয়েছি। ” কথাগুলো এনটিভি অনলাইনকে বলেছেন নির্মাতা সাগর জাহান।
বৃন্দাবন দাসের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সাগর জাহান। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, আনিকা কবির শখ, ফজলুর রহমান বাবু, শাহনাজ খুশি, আরফান আহমেদ, এ কে আজাদ, জামিল প্রমুখ।
নাটকটি সম্পর্কে সাগর জাহান বলেন, ‘একটা কলোনিকে ঘিরে নাটকটির গল্প এগিয়ে গেছে। আমরা আজিমপুরের পলাশী কলোনিতে এর শুটিং করেছি। এ ছাড়া উত্তরার একটি শুটিং হাউসেও আমরা কাজ করেছি। নাটকটি প্রতি সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রবিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে আরটিভিতে প্রচারিত হবে। আশা করছি, দর্শক নাটকটি ভালোভাবেই গ্রহণ করবেন।’
এখন অনেক কম বাজেটে সস্তা নাটক হয় জানিয়ে সাগর জাহান আরো বলেন, ‘এখন কম বাজেটে সস্তা নাটক অনেক নির্মাণ হচ্ছে। এটা আমাদের ভয়ের কারণ। এ রকম চলতে থাকলে আমাদের ভালো মানের নাটক বানাতে সমস্যা হবে। সস্তা নাটক বানানো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’
‘ডি-টুয়েন্টি’র গল্পে দেখা যাবে, “সরকারি কর্মচারীদের আবাসিক কলোনির ডি ক্যাটাগরির দালানের একটি ফ্ল্যাট নম্বর ‘ডি-টুয়েন্টি’। ফ্ল্যাটটি বর্তমানে মূলত একটি মেস। মাত্র দুটি কামরা একটি বাথরুম ও একটি ছোট রান্নাঘর। এক চিলতে ব্যালকনির এই সরকারি কোয়ার্টারটি যার নামে বরাদ্দ তার পরিবারে লোক সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে সাবলেট দিয়ে বাইরে বসবাস করে। ডি-টুয়েন্টির এই ছোট ফ্ল্যাটটিতে বেশকিছু মানুষ গাদাগাদি করে বাস করে। সবাই স্বল্প আয়ের মানুষ। দু-একজন ছাত্রও আছে। এরা সবাই পাবনা জেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে, জেবুন্নেসা পাবনার মানুষকে একদমই সহ্য করতে পারে না। তার কাছে ডি-টুয়েন্টির বাসিন্দারা চক্ষুশূল।
একদিন অদ্ভুত বেশভূষার যুবক মেগা ও ঘেগা এসে হাজির হয় ডি-টুয়েন্টিতে। দুজনই এদের পূর্ব পরিচিত এবং অবশ্যই পাবনা অঞ্চলের। রহস্যময় চরিত্রের অধিকারী ঘেগা নতুন নতুন কর্মকাণ্ড শুরু করে। এ নিয়ে নতুন করে শুরু হয় জেবুন্নেসার সাথে ডি-টুয়েন্টির বাসিন্দাদের স্নায়ুযুদ্ধ।”