আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে ‘জ্যাম- এর শুটিং বন্ধ
ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে গতকাল বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বরেণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেন। খবরটি শোনার পর চলচ্চিত্রপাড়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
নায়ক মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘কৃতাঞ্জলী কথাচিত্র’ থেকে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘জ্যাম’। আমজাদ হোসেনের মৃত্যুর খবর শুনে গতকাল এফডিসিতে এর শুটিং বন্ধ করে দেন ছবির উপদেষ্টা প্রযোজক মাসুম বাবুল।
এনটিভি অনলাইনকে মাসুম বাবুল বলেন, “আমজাদ হোসেন শুধু একজন নির্মাতা বা অভিনেতা নন। তিনি নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান। এমন মানুষের চলে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় কষ্টের। গতকাল বেলা ৩টার দিকে জানতে পেয়েছিলাম আমজাদ ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এই খবর শোনামাত্রই ‘জ্যাম’-এর শুটিং বন্ধ করেছি। ইউনিটের উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়েছিল। আমি নিজেও কোনো কাজ করতে পারছিলাম না।”
মাসুম বাবুল আরো বলেন, ‘আমরা এফডিসির মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের সামনে অনেক বড় একটা সেট নির্মান করে শুটিং করছিলাম গতকাল। শুটিংয়ের প্রয়োজনে রাস্তায় জ্যাম তৈরি করার জন্য ১০টি বাস, ১৩টি ট্রাক, বেশ কিছু সিএনজি ও রিকশা দিয়ে এই সেট নির্মাণ করা হয়েছিল। এটা অনেক ব্যয়বহুল সেট। আমরা শুটিং বন্ধ করার সময় জানতাম এই শুটিং সেটের আয়োজন করতে বড় অঙ্কের টাকা গুনতে হবে। এরপরও আমজাদ ভাইয়ের সম্মানে আমরা শুটিং বন্ধ করে দেই।’
দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার পর আবারও মান্নার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি সক্রিয় হয়েছে ‘জ্যাম’-এর মাধ্যমে। মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না এখন এই প্রতিষ্ঠানটির হাল ধরেছেন। জ্যাম ছবিটির গল্প লিখেছেন প্রয়াত সাংবাদিক আহমদ জামান চৌধুরী। পরিচালনা করছেন নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল।
‘কৃতাঞ্জলী কথাচিত্র’ প্রতিষ্ঠানটি থেকে এর আগে নির্মাণ করা হয়েছে ‘লুটতরাজ’, ‘লাল বাদশা’, ‘আব্বাজান’, ‘স্বামী স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’, ‘মান্না ভাই’ ও ‘পিতা মাতার আমানত’।