কল্যাণ-অর্ষার ‘কোনো অভিযোগ নেই’
বড়দিন উপলক্ষে কল্যাণ কোরাইয়া ও অর্ষা অভিনয় করেছেন ‘কোনো অভিযোগ নেই’ নাটকে। সাজিন আহমেদ বাবুর রচনায় এটি পরিচালনা করেছেন জয়ন্ত রোজারিও। এতে আরো অভিনয় করেছেন মিলি বাশার ও কাজী উজ্জ্বল প্রমুখ।
মানবিক গল্পের নাটকটিতে নিলাদ্রি চরিত্রে অর্ষা ও সোহেল চরিত্রে কল্যাণ অভিনয় করেছেন। এখানে কল্যাণের চরিত্র অনেক ইতিবাচক। এ সম্পর্কে অর্ষা বলেন, ‘নাটকে কল্যাণকে আমার এলিয়েন মনে হয়েছে। সবার উপকার করে, কিন্তু একটা সময় যখন তার কিছু থাকে না, তখন সবাই তাকে এড়িয়ে চলে। এমনকি আমি নিজেও প্রেম ও বন্ধুত্বরের সম্পর্ক ছিন্ন করি। এর শেষে কী হবে এখন বলতে চাই না। তবে নাটকটির গল্পে অনেক নৈতিক শিক্ষা রয়েছে। প্রথমবারের মতো বড়দিনের নাটকে আমি অভিনয় করলাম। সব মিলিয়ে অন্যরকম অনুভূতি কাজ করছে।’
এর আগে বড়দিন উপলক্ষে ‘কনফেস’ নাটকে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছিলেন কল্যাণ। এবার দ্বিতীয়বারের মতো বড়দিনের নাটকে অভিনয় করলেন এই অভিনেতা। বললেন, “কনফেসের গল্পটাও চমৎকার ছিল। ‘কোনো অভিযোগ নেই’ নাটকেও তাই। একজন পরোপকারী মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি। নির্মাতা জয়ন্ত রোজারিওর সঙ্গে এর আগেও আমার কাজ হয়েছে। অনেক গুছিয়ে কাজ করেন তিনি।”
নির্মাতা জয়ন্ত রোজারিওর সঙ্গে কল্যাণ ও অর্ষা।
অন্যদিকে, নির্মাতা জয়ন্ত রোজারিও বলেন, ‘নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নিলাদ্রি ও সোহেল দুজন দুজনকে ভালোবাসে। একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে তারা । দুজনের বাবাই বেশ টাকা-পয়সার মালিক। ইউনিভার্সিটির আরেক বন্ধু সুস্ময়ও নিলাদ্রিকে পছন্দ করে। তবে সোহেলের সাথে নিলাদ্রির সম্পর্ক থাকায় সুস্ময়ের ভালোলাগা ঢাকা পড়ে যায়। সোহেল একজন পরোপকারী মানুষ। সে সব সময় মানুষের বিপদে এগিয়ে যায়। কেউ কোনো বিপদে পড়লে তাকে টাকা দিয়ে হোক কিংবা শ্রম দিয়ে হোক সাহায্য করে। বন্ধু মহলে এজন্য সোহেলের বেশ কদর। নিলাদ্রিও সোহেলের এই বিয়ষটা ভীষণ পছন্দ করে। ভালোই চলে নিলাদ্রি ও সোহেলের প্রেম। হঠাৎ করে সোহেলের বাবার ব্যবসায় ধস নামে। এরপর ঘটনা মোড় নেয় অন্যদিকে। এখানে অনেক সামাজিক বার্তা পাবেন দর্শক। চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে কল্যাণ ও অর্ষাও দারুণ অভিনয় করেছেন।’
‘কোনো অভিযোগ নেই’ নাটকটি ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে জানান জয়ন্ত রোজারিও।