নিজেকে ‘মি টু জননী’ বলতে নারাজ তনুশ্রী
ভারতে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনের জননী বলা হচ্ছে সাবেক মিস ইন্ডিয়া ও অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তকে। গত বছর নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া যৌন হেনস্তার গল্প বলে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন বি-টাউনে। বিনোদন দুনিয়া থেকে রাজনীতি, সবখানেই ওঠে #মিটু ঝড়।
সেই তনুশ্রী নিজেকে ‘মি টু জননী’ মানতে নারাজ, বলেছেন তিনি ‘মাধ্যম’ মাত্র।
তনুশ্রী অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিং চলাকালে বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন। তবে পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত নানা তনুশ্রীর সব অভিযোগকে মিথ্যা বলেছেন। দীর্ঘদিন মার্কিন প্রবাসী তনুশ্রীর বক্তব্যে ঝড় ওঠে মিডিয়ায়। কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা জোরদারের দাবি ওঠে সর্বমহলে।
ফের আমেরিকার ফিরে যাচ্ছেন একসময়ের ‘সিরিয়াল কিসা’র খ্যাত ইমরান হাশমির সঙ্গে ‘আশিক বানায়া আপনে’ দিয়ে ঝড় তোলা তনুশ্রী দত্ত।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে তনুশ্রী বলেছেন, ‘আন্দোলন আমার ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়।’ তাঁর মতে, কোনো আন্দোলন যদি ব্যক্তিনির্ভর হয়ে পড়ে, তখনই তা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে যায়।
গত বছর তনুশ্রীর অভিযোগের পরই একে একে বেরিয়ে আসে বি-টাউনের রথী-মহারথীর নাম, যেমন অলোক নাথ, বিকাশ বেহল, সাজিদ খান, সুভাষ ঘাই প্রমুখ। তাঁদের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ তোলে অন্যরা।
তবে আন্দোলনের প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে দেখতে চান না তনুশ্রী। বলেন, ‘একজন সাধারণ মানুষের জার্নিকে মিডিয়া হিরোইন বানিয়ে দিয়েছে। আমি প্রবক্তা নই, বরং আমি একটা মাধ্যম, যার মধ্য দিয়ে সমাজে পরিবর্তন ও সচেতনতার প্রসার ঘটেছে।’
‘এক দশক আগের ওই ঘটনা আমার ক্যারিয়ারকে শেষ করে দিয়েছিল। তাই আমাকেও একদিন না একদিন এর জের কাটিয়ে বের হতেই হতো,’ যোগ করেন তনুশ্রী।
তনুশ্রী দত্ত এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। এবার দীর্ঘদিন ভারতে কাটিয়ে গেলেন। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ বারের ছুটিটা একটু বেশিই লম্বা হলো। তবে আমি সবাইকে মিস করব, আমার পুরো পরিবার ভারতে থাকে।’
তনুশ্রী দত্ত ‘চকলেট : ডিপ ডার্ক সিক্রেট’, ‘ঢোল’, ‘স্পিড’, ‘গুড বয়’, ‘ব্যাড বয়’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। তাঁকে সর্বশেষ ২০১০ সালে ‘অ্যাপার্টমেন্ট’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল। সূত্র : এনডিটিভি