‘শৃঙ্খলার মধ্যে আমরা শুটিং করতে চাই’
চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পীরা ছবির চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে কাজ করলেও নাটকের শিল্পীদের এ রকম করতে কখনো দেখা যায়নি।
গত বছরের শেষে নাটকের সঙ্গে জড়িত ছয়টি সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয়শিল্পী সংঘ, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ক্যামেরাম্যান অ্যাসোসিয়েশন ও টেলিভিশন মিডিয়া মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলে সিদ্ধান্ত নেয়, নতুন বছর থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করে নাটকের শুটিং শুরু হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরের শুরুতে শিল্পীরা চুক্তি স্বাক্ষর করে শুটিং করছেন। অভিনেত্রী নাদিয়া আহমেদ গত ২ জানুয়ারি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘২০১৯-এর প্রথম কাজ শুরু হলো চুক্তিপত্র সইয়ের মাধ্যমে।’ বাবু সিদ্দিকীর পরিচালনায় ‘সেতু বন্ধন’ শিরোনামে একটি নাটকে অভিনয় করেছিলেন তিনি। নাটকটি লিখেছেন আহমেদ ইউসুফ সাবের। সেদিন শুটিংয়ের আগে ডিরেক্টরস গিল্ড এবং অভিনয়শিল্পী সংঘের সম্মানিত সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সাধারণ সদস্যের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
অভিনয়শিল্পী আবদুন নূর সজল ও মৌসুমি হামিদও চুক্তি স্বাক্ষর করে নাটকের শুটিং শুরু করেছেন এ বছর। সকাল আহমেদ পরিচালিত নাটকটির নাম ‘তোমার অপেক্ষায়’।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাউদ্দিন লাভলু চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে আশাবাদী। বললেন, ‘বছরের শুরুতে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমরা নিজেরাও শুটিং বাড়িগুলোতে উপস্থিত ছিলাম। আশা করছি, সবাই চুক্তি স্বাক্ষর করেই কাজ শুরু করবেন।’
অন্যদিকে, চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কে ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এ হক অলিক বলেন, ‘শৃঙ্খলার মধ্যে আমরা শুটিং করতে চাই। এ কারণেই চুক্তি স্বাক্ষর। কারণ, মৌখিকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকলেও অনেক সময় সেটা রক্ষা করা হয় না। চুক্তি স্বাক্ষর থাকলে একটা শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। সময়মতো সবাই সেটে আসবে এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী শুটিং করে চলে যাবে।’
এনটিভি অনলাইনকে এস এ হক অলিক আরো বলেন, ‘আমরা রাজধানীর সব শুটিং বাড়িতে চুক্তপত্রের বই রেখেছি। সবাই খুব সহজে এটা পূরণ করতে পারবেন।’
এস এ হক অলিক আরো জানান, চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করে শুটিং শুরু করলে সবার জন্যই কাজ করতে সুবিধা হবে।