২০১৩ সালে বলিউড সুন্দরী অমৃতা রাওকে সর্বশেষ ‘সত্যাগ্রহ’ চলচ্চিত্রে দেখা গিয়েছিল। তবে ২০১৬ সালে ‘মেরি আওয়াজ হি পেহচান হ্যায়’ সিরিয়াল দিয়ে ছোটপর্দায় অভিষেক হয় এ অভিনেত্রীর। এরপর বেশ কিছুদিন পাদপ্রদীপের আলোয় নেই অমৃতা রাও।

টানা আড়াই বছর একটি রেডিও শো করার পর সেটি থেকেও অদৃশ্য হয়েছিলেন অমৃতা। এরপর তিনি নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। যা হোক, ছয় বছর পর বড় পর্দায় দেখা যাবে অমৃতাকে। বলেছেন, এখনই নিজেকে প্রকাশের উপযুক্ত সময়।

অমৃতা রাওকে পরে দেখা যাবে ‘ঠাকরে’ সিনেমায়। এতে তিনি মিনতি চরিত্রে অভিনয় করছেন। প্রয়াত শিবসেনা প্রধান বালসাহেব ঠাকরের জীবনীভিত্তিক ছবি এটি।

এ কয়েক বছর কী করেছেন অমৃতা? উত্তরে তিনি হেসে বললেন, ‘অল্পবিস্তর রান্না করেছি।’ গৃহস্থালির কাজকর্ম আর ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হয়েছেন। কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি ভিডিও নির্মাণ করেছেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেল আছে, আর তা ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

টিভিতে ‘মেরি আওয়াজ হি পেহচান হ্যায় ‘ধারাবাহিকে অভিষেকের পর ‘ঠাকরে’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি। ছোটপর্দায় কাজ করে অসাধারণ অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘এটা অসাধারণ সিরিজ ছিল। আমি অনেক কৌশল শিখেছি, কারণ টিভি সিরিয়ালে কাজ করা মানে একসঙ্গে চারটে সিনেমা করা’, বলেন অমৃতা।

‘ম্যায় হু না’ সিনেমায় অভিনয় করে ঝড় তুলেছিলেন অমৃতা। ছবি : সংগৃহীত

‘ঠাকরে’ সিনেমায় তাঁর ভূমিকা প্রসঙ্গে অমৃতা বলেন, ‘মিনতি ঠাকরের ভূমিকায় কাজ করাটা আমার কাছে বিরাট ব্যাপার, কারণ এ ধরনের রোল তখনই করা যায়, যখন সেই ভাবমূর্তি থাকে। আমি মনে করি, সেই ভাবমূর্তি অর্জন করেছি। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির মতো গুণী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেই ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে আমরা শুটিং করছি। প্রতিটি দিনই আমার জন্য বিস্ময়কর ছিল। এই সিনেমায় অভিনয় আমাকে একদম ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা দিয়েছে।’

হাতে কি আর কোনো সিনেমা আছে?

‘উপযুক্ত সময়েই সেটা প্রকাশ করব। এত বছর অভিনয়ের পর নতুন ধারার সিনেমায় আগ্রহ বাড়ছে। চিত্রনাট্য বদলে গেছে এবং দর্শকের প্রত্যাশাও দিন দিন বাড়ছে। আজকাল চিত্রনাট্য ও বিষয়বস্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই অভিনেতাদের জন্য নিজেকে প্রকাশের এখনই প্রকৃত সময়’, বলেন অমৃতা রাও।

২০০২ সালে ‘আপ কে বারাস’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় অমৃতা রাওয়ের। অভিনয়ের জন্য তিনি ‘ফিল্মফেয়ার বেস্ট ফিমেল ডেব্যু অ্যাওয়ার্ড’ পান। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা ‘বিবাহ’, ২০০৬ সালে এটি মুক্তি পায়। সূত্র : ডিএনএ