পেছাল কাজী হায়াতের ফেরা, অনিশ্চিত শাকিবের ছবি
ভালো নেই কাজী হায়াৎ, তাই শিগগিরই ফেরা হচ্ছে না দেশে। নতুন করে তাঁর হৃৎপিণ্ডে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এক হাসপাতালে ফেব্রুয়ারিতে তাঁর হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর মার্চে দেশে ফিরতে পারেন কাজী হায়াৎ। এমন অবস্থায় সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন এই বরেণ্য চিত্রপরিচালক। শাকিব খানকে নিয়ে ‘বীর’ শিরোনামে একটি চলচ্চিত্র শুরু করার কথা ছিল এই জানুয়ারিতে, কিন্তু অসুস্থতার কারণে শুটিংয়ের তারিখ পেছানো হয়। তবে এই মুহূর্তে শুটিং অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে কাজী হায়াতের শারীরিক অসুস্থতার কারণে।
কাজী হায়াতের প্রধান সহকারী কাজী মনির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হায়াৎ স্যারের ঘাড়ের একটি রক্তনালি ব্লক হয়ে গেছে। মূলত সেটির চিকিৎসা করার জন্যই নিউইয়র্কে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আপাতত রক্তনালির অপারেশন হচ্ছে না। শারীরিকভাবে তিনি ফিট নন। ঔষধ দিয়ে সারানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ডাক্তার পরীক্ষা করে ওই রক্তনালির পাশে আরেকটি চিকন রক্তনালি পেয়েছেন, যা দিয়ে রক্ত সঞ্চালন হচ্ছে। এটা আল্লাহর অশেষ রহমত।’
চিকিৎসা করতে গিয়ে কাজী হায়াতের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র পাওয়া গেছে বলেও জানান কাজী মনির। এটির জন্যই ফেব্রুয়ারি মাসটা থেকে যেতে হবে কাজী হায়াৎকে। কাজী মনির বলেন, ‘আরেকটা সমস্যা হচ্ছে উনার হার্টে একটি ছিদ্র দেখা দিয়েছে। তারও আপারেশন এখনই করা যাচ্ছে না। উনার প্রেশার বেশি, ডাক্তার চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করছেন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে হার্টের আপারেশন হতে পারে। সেক্ষেত্রে মার্চের দিকে তিনি দেশে ফিরতে পারেন। দেশে ও দেশের বাইরে যারা আছেন সবার কাছে তিনি দোয়া চেয়েছেন।’
‘বীর’ ছবির নির্বাহী প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘আমরা চাই সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন আমাদের কাজী হায়াৎ। তার পরই ছবির শুটিং শুরু করব। তবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে আমরা অন্য একটি ছবির শুটিং করার কথা চিন্তা করছি। কিছুদিনের মধ্যে তা ঘোষণা দেব। সবাই দোয়া করবেন হায়াৎ স্যারের জন্য। তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন।’
উন্নত চিকিৎসার জন্য কাজী হায়াৎ নিউইয়র্কে যান গত ২২ ডিসেম্বর। গত বছরের মার্চে নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে একবার চিকিৎসা নেন কাজী হায়াৎ। পরে দেশে ফিরে এলেও সম্প্রতি আবারও অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে হৃৎপিণ্ডে দুটি রিং বসানো হয় প্রখ্যাত এই চলচ্চিত্র নির্মাতার। ২০০৫ সালে ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয় তাঁর। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে আবারও হৃৎপিণ্ডে সমস্যা দেখা দিলে বরেণ্য এই নির্মাতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। তারপর গত বছর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা অনুদান পান তিনি।