পূর্ণিমা-ফেরদৌস বিশ্রামে, শুটিং বন্ধ
‘পূর্ণিমা কাঁধে ব্যথা পেয়েছেন, ফেরদৌস বাঁ পায়ের হাঁটুতে। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে গেছে। আজ সকালে তাঁরা দুজনই বিছানা থেকে উঠতে পারছেন না। তাই ছবির শুটিং বন্ধ রাখা হয়েছে। আজ বিকেলে ঢাকায় ফিরছি। তাঁদের সুস্থতার ওপর পরবর্তী শুটিং ডেট নির্ভর করবে।’ গতকাল রোববার শুটিং চলাকালে নায়ক ফেরদৌস ও নায়িকা পূর্ণিমা আহত হওয়ার পর আজ সোমবার তাঁদের অবস্থা জানতে চাইলে এনটিভি অনলাইনকে কথাগুলো বলেন ‘গাঙচিল’ ছবির প্রধান সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল উল্টে পড়ে যান চলচ্চিত্র ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। গতকাল উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরমণ্ডলিয়া এলাকায় ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিং চলা অবস্থায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে তাঁদের নেওয়া হয়। এক্স-রে করার পর শঙ্কামুক্ত বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আ ফ ম আবদুল হক জানান।
প্রধান সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, ‘এক্স-রে করে দেখা গেছে, তাঁদের শরীরের কোথাও হাড় ভাঙেনি। তবে শরীরের বিভিন্ন জায়গা ছিলে গেছে। ডান কাঁধে পূর্ণিমার ব্যথাটা সকালে বেড়েছে। ফেরদৌসের বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে ফুলে গেছে। দুজনের কেউই এখন কাজ করার জন্য উপযুক্ত নন। যে কারণে শুটিং বন্ধ করা ছাড়া এখন আর কোনো উপায় নেই। আজ বিকেলে আমরা ঢাকায় ফিরছি।’
শুটিংয়ের সময় দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আজাদ বলেন, ‘পূর্ণিমা ফেরদৌসকে স্কুটিতে করে নিয়ে যাচ্ছে। এমন একটি দৃশ্য আমরা শুটিং করছিলাম। প্রথমে বড় শটগুলো আমরা নিয়ে নিই। পরে আমরা ক্লোজ শট নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিই। ক্যামেরা ট্রলিতে বসানো হয়, আর মোটরসাইকেল একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সেট করা হয়। বাইকে বসা ছিলেন পূর্ণিমা ও ফেরদৌস। যখন শট শুরু হয়, তখন মাইক্রোবাসটি টান দেয়, বাইক চলতে শুরু করে। তখন বাইকের ব্যালান্স রাখতে পারেননি তাঁরা। এভাবেই অ্যাক্সিডেন্ট হয়।’
২০১৪ সালে প্রকাশিত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ‘গাঙচিল’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘গাঙচিল’ সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘গাঙচিল’ সিনেমার শুটিংয়ের প্রথম ধাপের কাজ নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে শুরু হয়। গাঙচিল ছবিটিতে প্রধান নায়ক-নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস ও পূর্ণিমা। সিনেমায় অতিথিশিল্পী হিসেবে রয়েছেন কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তা। ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন মারুফ রেহমান ও প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। ছবিটির শুটিং ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলার কথা ছিল। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুলের পরিচালনায় ছবিটি প্রযোজনা করছে ইচ্ছেমত ও নুজহাত ফিল্মস।