চকবাজারে অগ্নিকাণ্ড
শাকিব খানের শোক, ঘুম নেই বাপ্পী চৌধুরীর
রাজধানীর চকবাজার এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুদিন ধরেই শোক বইছে দেশজুড়ে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে এই অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৬৭ জন, আহত হয়েছেন অনেকেই। এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান।
অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে শোকবার্তা জানিয়ে শাকিব খান লিখেছেন, ‘ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি পরিবার ও পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা রইল। সেইসঙ্গে আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
অন্যদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গতকাল সকালে হাসপাতালে যান নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। রাতে ঘুমাতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
এনটিভি অনলাইনকে বাপ্পী চৌধুরী বলেন, ‘আমি গত দুই রাত ঘুমাতে পারিনি। বুধবার রাতে বাসায় গিয়ে আগুন লাগার খবর পাই। সারা রাত টিভিতে খবর দেখেছি। গতকাল সারা দিন হাসপাতালে ছিলাম। রাতে ঘুমাতে গেলেই পোড়া মানুষগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠছে। মৃত্যু তো আমাদের সবার জন্যই অবধারিত। কিন্তু এমন মৃত্যু কেন হতে হবে? এটা মেনে নেওয়া যায় না।’
বাপ্পী আরো বলেন, ‘আমি সবার পাশে থাকতে চাই। আমার মনে হয়, সমাজের সবাই যদি এগিয়ে আসেন, তা হলে ক্ষতিগ্রস্তরা কিছুটা হলেও সাহস পাবে। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। সাধ্যমতো আর্থিক সহযোগিতাও করতে চাই আমি।’
চকবাজারের নন্দকুমার সড়কের চুড়িহাট্টায় গত বুধবার রাতে শাহি মসজিদের সামনে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির ট্রান্সফরমার বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই আগুন লাগে জামাল কমিউনিটি সেন্টারে। আগুনের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল যে সে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের চারতলা ওয়াহিদ ম্যানশনে। ভবনটির প্রথম দোতলায় প্রসাধনসামগ্রী, প্লাস্টিকের দানা ও রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের গুদাম থাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের আরো চারটি ভবনে। পাশের কয়েকটি খাবারের হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডারেরও বিস্ফোরণ ঘটে। পুড়ে যায় সড়কে থাকা একটি প্রাইভেটকারসহ কয়েকটি যানবাহন।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। রাজধানীর প্রায় সবকটি ইউনিট কাজ করে আগুন নেভাতে। খুবই ঘনবসতি এবং রাস্তা সরু হওয়ায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিসকে।