বিমানবন্দরের স্ক্যানিংয়ে কেন আমার পিস্তল ধরা পড়ল না?
‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রথম স্ক্যানিং মেশিনে আমার ল্যাপটপের ব্যাগটা দিয়ে আমি বডি স্ক্যানিং করে দ্বিতীয় স্ক্যানিং মেশিনের দিকে এগিয়ে যাই। তখন আমার হঠাৎ করেই মনে হয়, ল্যাপটপের ব্যাগে নাইন এমএম পিস্তল আর ১০ রাউন্ড গুলি আছে। দ্বিতীয় স্ক্যানিং মেশিনে দায়িত্বরত অফিসারদের বিষয়টি তখন অবহিত করি। আমার কাছে অবাক মনে হয়েছে যে প্রথম মেশিন তা হলে কী স্ক্যান করল? মেশিনে ধরাই পড়ল না আমার ব্যাগে পিস্তল আর গুলি আছে?’ কথাগুলো বলছিলেন নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের চেয়ারম্যান ও অভিনয়শিল্পী ইলিয়াস কাঞ্চন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নভোএয়ারের ভিকিউ-৯০৯ ফ্লাইটে শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রামে যাচ্ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। এ সময় বিমানবন্দরের প্রথম স্ক্যানিং মেশিনে ধরা পড়েনি তাঁর পিস্তল ও গুলি। এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘কিছুদিন আগেই এমন একটি ঘটনা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। অথচ তার কিছুদিন পরই এমন ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। আমি ভালো মানুষের মতো পিস্তলের বিষয়টা নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে বলেছি। আমি না হলে যদি কোনো সন্ত্রাসী হতো, তা হলে কী হতো?’
আগ্নেয়াস্ত্রটি ভুল করেই বিমানবন্দরে এনেছিলেন বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ভুল করে পিস্তল সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। তবে বিষয়টি আমি চেপে যেতে পারতাম, যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হলে আমাদের দেশের দুর্নাম হতে পারে। যাক, পরে তো নিরাপত্তাকর্মীদের বলেছি। কালই দেখি ঘটনাটি গণমাধ্যমে চলে এসেছে। বুঝতে পারছি না কীভাবে খবরটি ছড়াল।’
দেহ ও সরঞ্জাম তল্লাশিতে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এ বিষয়ে কার কাছে বিচার চাইব, বুঝতে পারছি না। কারণ দেশটাই তো আমার। আমার মনে হয়, সিস্টেমকে আরো উন্নত করা উচিত। সবাইকে আরেকটু সিনসিয়ার হওয়া দরকার। আমরা যদি সবাই নিজের কাজটা সঠিকভাবে করি, তা হলে অনেক সমস্যাই সামনে এসে দাঁড়াতে পারবে না।’
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে খেলনা পিস্তল নিয়ে উঠে বিমান ‘ছিনতাইয়ের’ চেষ্টা করেন পলাশ আহমেদ নামের এক যুবক। তখন থেকেই বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।