শুধু যে মাঠেই চার-ছক্কা মেরেছেন এমন নয়, মাঠের বাইরেও প্রেমে তাঁর চার-ছক্কার গল্প বিনোদন দুনিয়ার বাতাসে ভাসত। এমনিতেই ভারতের ক্রীড়াঙ্গন আর চলচ্চিত্র অঙ্গন যেন রোমান্টিক যুগল। সেখানে যুবরাজ সিংয়ের মতো ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানো সুদর্শন ক্রিকেটারের নাম নারীমুখে উচ্চারিত হবে না, এ কল্পনা কষ্টসাধ্য।

অন-ফিল্ডে চার-ছক্কা আর অফ-ফিল্ডে একাধিক প্রেম—একসময় অবিরাম খবরের শিরোনাম হতেন যুবরাজ সিং। বলিউড নায়িকা দীপিকা পাড়ুকোন, কিম শর্মা, প্রীতি জিনতা থেকে শুরু করে হ্যাজেল কিচ পর্যন্ত, অনেক অভিনেত্রীর নাম যুক্ত হয়েছে যুবরাজের প্রেমের তালিকায়। অবশেষে হ্যাজেলের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এ ক্রিকেট তারকা। যুবরাজের প্রেমের গল্প বলিউড চিত্রনাট্যের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

কীভাবে প্রেমের শুরু, তা একবার জনপ্রিয় কমেডি অনুষ্ঠান ‘কপিল শর্মা শো’-তে যুবরাজ সিং ও হ্যাজেল কিচ প্রকাশ করেছিলেন। ওই অধ্যায়ের কথা প্রকাশ করে যুবরাজ বলেন, প্রথম দর্শনেই হ্যাজেলকে পছন্দ করে ফেলেছিলেন তিনি। চেয়েছিলেন দেখা করতে। কিন্তু যুবরাজের প্রতি কোনো আগ্রহই দেখাননি হ্যাজেল।

ফেসবুকে অভিনেত্রী হ্যাজেল কিচকে প্রথমে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠান যুবরাজ সিং। দীর্ঘদিন সেই রিকোয়েস্ট ঝুলিয়ে রাখেন এ অভিনেত্রী। পরে অবশ্য গ্রহণ করেন। আর তারপর হ্যাজেলের সঙ্গে দেখা করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন যুবরাজ।

অবাক করার মতো ব্যাপার হলো, যে যুবরাজের সঙ্গে এত লাস্যময়ী নায়িকার নাম জড়িত, সেই তিনিই কি না দীর্ঘদিন হ্যাজেলের উত্তরের জন্য প্রহর গুনেছেন! হ্যাজেলকে রাজি করাতে যুবরাজের লেগেছে তিন তিনটি বছর। দেখা করার জন্য কী করেননি যুবরাজ। দেখা করার জন্য তারিখ ও সময় নির্ধারণ হলো তো হ্যাজেলের মুঠোফোন বন্ধ!

ঠিক দেখার করার দিনটিতেই মুঠোফোনের সুইচ অফ করে রাখতেন হ্যাজেল কিচ। একবার নয়, তিন বছরে বহুবার এমন ঘটেছে। তবে দমে যাননি যুবরাজ। অপেক্ষা করেছেন। হ্যাজেলও নিশ্চয়ই ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েছেন।

ওই শোতে হ্যাজেল কিচ আরো বলেন, তাঁর পরিবারের জন্য যুবরাজ সিং সত্যিই বেশ বড় নাম ছিলেন। কিন্তু ক্রিকেট একদম অপছন্দ ছিল তাঁর। যুবরাজকে তিনি আসলে পরে বিবেচনা করেছিলেন। এই অভিনেত্রী আরো বলেন, কখনোই তিনি গুগলে যুবরাজকে খোঁজার চেষ্টা করেননি। অন্তর্জাল বা তাঁদের কমন ফ্রেন্ড দ্বারা কিছু জানার চেষ্টাও করেননি।

যা হোক, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দেখা হয় হ্যাজেল ও যুবরাজের। আর পেছনে ফেরেননি দুজন। দুই তারকার পরিবারের কাছেও তাঁদের প্রথম সাক্ষাৎটি ছিল আনন্দের। বিয়ের পিঁড়িতে বসার আগে চুটিয়ে প্রেমও করেন তাঁরা। ইন্দোনেশিয়ার বালি ভ্রমণে যান এ যুগল, আর সেখানেই হ্যাজেলকে বেশ আদুরেভাবে বিয়ের প্রস্তাব দেন যুবরাজ। আর হ্যাজেল ‘হ্যাঁ’ বলে দেন। সূত্র : ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস