নির্মিত ভালো চলচ্চিত্রগুলোর অনুদান হোক : ইলিয়াস কাঞ্চন
‘আমাদের দেশে চলচ্চিত্রের যে অবস্থা তাতে সরকারের সুনজর দেওয়া খুবই প্রয়োজন। আমাদের চিহ্নিত সমস্যাগুলো সমাধান করা, পাশাপাশি ভালো চলচ্চিত্রগুলো অনুপ্রেরণা পেলে আমাদের সব সমস্যা সমাধান হবে বলে আমি মনে করি। আমি সরকারের কাছে দাবি করছি, নির্মিত ভালো চলচ্চিত্রগুলোর অনুদান হোক।’ চলচ্চিত্রের অনুদান সম্পর্কে এনটিভি অনলাইনকে কথাগুলো বলেছেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
চলচ্চিত্রের অনুদানের থেকে অনুপ্রেরণা প্রয়োজন বেশি বলে মনে করেন নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক দিন আগে থেকেই বলে আসছি আমাদের চলচ্চিত্রের অনুদান বন্ধ করে দেওয়া হোক। আমাদের অনুদান প্রয়োজন নেই। আমাদের প্রয়োজন অনুপ্রেরণা। যে ১০টা বা পাঁচটা ছবি ভালো করেছে সেই ছবিগুলোকে অনুদানের টাকাগুলো দিয়ে অনুপ্রাণিত করুন। এতে যাঁরা ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন, তাঁরা আরো ভালো করার চেষ্টা করবেন। একটা ভালো চলচ্চিত্র অন্তত এক মাস সিনেমা হলে দর্শক টানতে পারে। ব্যবসা নেই চিন্তা করে যারা সরে যাচ্ছেন তাঁরা এই অনুপ্রেরণার টাকার আশায় আবারও চলচ্চিত্র নিয়ে ভাববে। আমাদের মূল ধারার চলচ্চিত্র সমৃদ্ধ হবে।’
সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রণালয় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে চলচ্চিত্রে অনুদান দিয়েছে। তথ্যমন্ত্রণালয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র, দুটি প্রামাণ্যচিত্র ও সাধারণ শাখায় পাঁচটি চলচ্চিত্রকে অনুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শিশুতোষ শাখায় অনুদান পেয়েছে পরিচালক আবু রায়হান মো. জুয়েলের ‘নসু ডাকাত কুপোকাত’। প্রামাণ্যচিত্র শাখায় অনুদান পেয়েছে হুমায়রা বিলকিসের ‘বিলকিস এবং বিলকিস’, পূরবী মতিনের ‘খেলাঘর’।
সাধারণ শাখায় কবরীর ‘এই তুমি সেই তুমি’, মীর সাব্বিরের ‘রাত জাগা ফুল’, আকরাম খানের ‘বিধবাদের কথা’, কাজী মাসুদের প্রযোজনা ও হোসনে মোবারক রুমির ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া’, লাকী ইনামের প্রযোজনায়, হৃদি হকের পরিচালনায় ‘১৯৭১ সেইসব দিন’।