‘ফণী’র কারণে বন্ধ হলো নাটকের শুটিং
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাব পড়েছে নাটকের শুটিংয়েও। ‘ফণী’র কারণে নির্মাতা অনিমেষ আইচ তাঁর ‘গুড ব্যাড আগলী’ নাটকের শুটিং বন্ধ রেখেছেন।
এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা হয় অনিমেষ আইচের। তিনি বলেন, “‘গুড ব্যাড আগলী’ ধারাবাহিক নাটক। তাই নিদির্ষ্ট সময় অনুযায়ী এর শুটিং হওয়া জরুরি। তবুও ফণীর কারণে আজ আমরা সমস্ত শুটিং বন্ধ রেখেছি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কাল অথবা পরশু আমরা নাটকটির শুটিং করব।”
অনিমেষ আইচ আরো বলেন, ‘এই রকম গুমোট পরিস্থিতি আমি অনেক বছর দেখি নাই। সুতরাং, যারা শুটিং সংক্রান্ত পরিস্থিতির সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন সবার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ফণী যেন প্রকৃত ফনা না তোলে। ভালোবাসা।’
‘গুড ব্যাড আগলী’ ধারাবাহিক নাটকটি প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি থেকে শনিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে বাংলাভিশনে প্রচারিত হচ্ছে। এটিপরিচালনা করার পাশাপাশি এটি লিখেছেন অনিমেষ আইচ। নাটকের প্রধান তিনটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, ফারুক আহমেদ এবং ডা. এজাজুল ইসলাম।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের ওডিশা রাজ্যে ‘ফণী’র তাণ্ডব শুরু হয়। সেখানকার পুরি উপকূলে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে। সেখানে আটজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
‘গুড ব্যাড আগলী’ নাটকের একটি দৃশ্যে জয়ন্ত চট্টপাধ্যায়, ফারুক আহমেদ ও ডা. এজাজুল ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
এরপর সেটি পশ্চিমবঙ্গে আঘাত আনে। মধ্যরাতের পর ভারতের এই রাজ্যে প্রবেশ করে ‘ফণী’। ৯০ কিলোমিটার বেগে খড়গপুরে এটি আঘাত হানে। পরে আরামবাগ, কাটোয়া, নদীয়া হয়ে গেছে মুর্শিদাবাদে। তারপর সেখান থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে আলিপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের স্থলভাগ দিয়ে প্রবেশ করায় তা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম। সংশ্লিষ্ট এলাকার সাগর ও নদী উত্তাল রয়েছে।
এদিকে, ‘ফণী’রতেজ কিছুটা কমে আজ শনিবার সকাল ৬টায় খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে এসব এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ঝড়টি ক্রমশ দুর্বল হয়ে উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে।