‘কবির সিং’ সিনেমার প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শহিদ কাপুর ও কিয়ারা আদভানি। ২০১৭ সালে মুক্তি পাওয়া তেলেগু হিট ‘অর্জুন রেড্ডি’র হিন্দি সংস্করণ এই রোমান্টিক ড্রামা। সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা পরিচালিত এ ছবিতে মদারুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শহিদ। মূল ছবিটিও নির্মাণ করেছিলেন সন্দীপ।

সম্প্রতি ছবিটির প্রচারে শহিদ ও কিয়ারা হাজির হয়েছিলেন জনপ্রিয় কৌতুক অনুষ্ঠান ‘কপিল শর্মা শো’-তে, যেখানে শহিদ বেশ মজা করেন।

‘কবির সিং’-এর ট্রেইলারে একটি দৃশ্য আছে, যেখানে দেখা যায়, কাচের গ্লাস ভেঙে ফেলায় গৃহকর্মীকে তাড়া করছেন শহিদ কাপুর। ট্রেইলার মুক্তির পর ওই দৃশ্যটি নিয়ে নানা মিম তৈরি করেছে অন্তর্জাল ব্যবহারকারীরা।

‘কপিল শর্মা শো’-তে সঞ্চালক শহিদকে জিজ্ঞেস করেন, বাস্তব জীবনে এমন অভিজ্ঞতা তাঁর আছে কি না, অর্থাৎ নিজের গৃহকর্মীকে তিনি কখনো তাড়া করেছেন কি না। প্রশ্নে হেসে ওঠেন শহিদ। বলেন, মীরা রাজপুতকে বিয়ের পর এ পর্যন্ত অনেক গৃহকর্মীই তাঁর বাসায় কাজ করেছেন। আর গ্লাস ভাঙার পরও তিনি ক্ষমা করে দিয়েছেন। এমনকি নিজে পরিষ্কার করার কথাও বলেছেন।

২০১৭ সালে মুক্তি পায় ‘অর্জুন রেড্ডি’। ওই ছবিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ছিলেন বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও শালিনি পান্ডে। হিন্দি রিমেকে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন শহিদ কাপুর ও হালের আবেদনময়ী কিয়ারা আদভানি।

সিনেমার গল্পে রয়েছে, সাবেক প্রেমিকা প্রীতির (কিয়ারা) অন্যত্র বিয়ের পর ছন্নছাড়া হয়ে যান কবির সিং (শহিদ)। এরপর আত্মবিধ্বংসী পথ বেছে নেন কবির। সারাক্ষণ মদ আর ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। হয়ে পড়েন আত্মনিয়ন্ত্রণহীন। ট্রেইলারে রাগান্বিত শহিদকে দেখা গেছে। মারপিট দৃশ্যও রয়েছে। অন্যদিকে, কিয়ারা স্নিগ্ধ। শহিদ ও কিয়ারার চুমুর দৃশ্যও ঝড় তুলেছে অন্তর্জালে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মুম্বাই মিররকে শহিদ বলেছিলেন, তিনি ধূমপান করেন না। কিন্তু সিনেমার প্রয়োজনে করতে হয়েছে। অভিনয়টা সহজ ছিল না। দিনে প্রায় কুড়িটির মতো সিগারেট খেতে হয়েছে। শরীরজুড়ে সিগারেটের গন্ধ লেগে থাকত তাঁর। আর তাই ঘরে ফিরে সন্তানদের কাছে যাওয়ার আগে তাঁকে প্রায় দুই ঘণ্টা স্নান করতে হতো।

‘কবির সিং’ সিনেমায় প্রথমবার শহিদ কাপুরের সঙ্গে অনস্ক্রিন রোমান্স করলেন কিয়ারা আদভানি। এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সুরেশ ওবেরয় ও নিকিতা দত্ত। প্রযোজনা করেছেন মুরাদ খেতানি, অশ্বিন বর্দে ও টি-সিরিজ। আগামী ২১ জুন বড়পর্দায় উঠবে ছবিটি। সূত্র : ডিএনএ