বলিউডে ঠোঁটকাটা বলে সুপরিচিত, স্বজনপ্রীতি (নেপোটিজম) নিয়ে সোচ্চার অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত ফের অগ্নিমূর্তি। বললেন, গণমাধ্যম মাফিয়াদের হাতে চলে গেছে।

এক সাংবাদিকের সঙ্গে অভব্য আচরণের জন্য কয়েক দিন আগে ভারতের বিনোদন সাংবাদিকেরা কঙ্গনাকে বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন। তাতে সমর্থন দিয়েছে প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া।

গত ৭ জুলাই ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কিয়া’র একটি গানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বার্তা সংস্থা পিটিআইর সাংবাদিক জাস্টিন রাওয়ের সঙ্গে তর্কে জড়ান ছবির নায়িকা কঙ্গনা রানাউত। এর পরই এন্টারটেইনমেন্ট জার্নালিস্টস গিল্ড অব ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কঙ্গনা রানাউত যেন প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। নইলে তাঁর সিনেমার সব ধরনের প্রচারণা বয়কট করবেন সাংবাদিকেরা। যদিও কঙ্গনার বোন উল্টো সাংবাদিকদের ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে বলেন, তাঁর বোন ক্ষমা চাইবেন না। পরে কঙ্গনাও ভিডিওবার্তায় সাংবাদিকদের তুলাধোনা করেন। অবশ্য ছবির প্রযোজক একতা কাপুর সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।

ওই ভিডিওবার্তায় ক্ঙ্গনা সাংবাদিকদের উদ্দেশে এ-ও বলেন, ‘এই লোকগুলো আমাকে নিষিদ্ধের হুমকি দিচ্ছে, ক্যারিয়ার ধ্বংসের হুমকি দিচ্ছে (হেসে)... তোমরা আমায় ধ্বংস করবে? তোমরা যদি মুভি মাফিয়া হও, তবে আমিও দেশের শীর্ষ অভিনেত্রী ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী। তোমাদের বলছি, দয়া করে আমায় নিষিদ্ধ করো। আমি চাই না, আমার জন্য তোমাদের ঘরে খাবার না থাকুক।’

সম্প্রতি জি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বললেন, ‘সাংবাদিকেরা বিশ্লেষণ ও সমালোচনা করেন, এটা তাঁদের কাজ। আমি সব সময়ই গঠনমূলক সমালোচনার প্রশংসা করে এসেছি। কারণ, এর মধ্য দিয়ে নিজের জীবন, কাজ ও অভিনয়ে পরিবর্তন এনেছি।’

তবে কেন ওই সাংবাদিকের ওপর এত ক্ষোভ জমেছে মনে, তাও ব্যাখ্যা করলেন কঙ্গনা। বললেন, ওই প্রতিবেদক তাঁর ‘মণিকর্নিকা’ সিনেমা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। আর সেখানে ‘মণিকর্নিকা’ না লিখে লিখেছিলেন ‘মণিকর্নিকাহাহা’। ক্ষোভ প্রকাশ করে কঙ্গনা বলেন, “মিডিয়া যদি ‘মণিকর্নিকা’র নামই বদলে দেয়, তাহলে সেটা সুবিচার হলো না।”

কঙ্গনার সাক্ষাৎকার :

কঙ্গনা রানাউত আরো বলেন, ‘মুভি মাফিয়ারাই মিডিয়ার একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে।’ ‘মুভি মাফিয়া’ বলতে এ অভিনেত্রী প্রকাশ্যে অভিনেতা হৃতিক রোশন ও নির্মাতা-প্রযোজক করণ জোহরের নাম উল্লেখ করেন।

যা হোক, কঙ্গনা রানাউত ও রাজকুমার রাও অভিনীত ‘জাজমেন্টাল হ্যায় কিয়া’ বড়পর্দায় উঠবে আগামী ২৬ জুলাই। সূত্র : ডিএনএ