দেশি ফাইট ডিরেক্টর নিয়ে ইরানে ‘দিন—দ্য ডে’
যৌথ প্রযোজনা ও বড় বাজেটের ছবিতে চান্স পান না দেশি টেকনিশিয়ানরা। সাধারণত মুম্বাইয়ের নামী-দামি টেকনিশিয়ানদের দিয়ে সেই কাজগুলো করানো হয়ে থাকে। তবে ভিন্নতা দেখাচ্ছেন নায়ক অনন্ত জলিল। ইরানে অ্যাকশন দৃশ্যের কাজ করেছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য ফাইট ডিরেক্টর মোহাম্মদ আরমান। দেশি টেকনিশিয়ানরা প্রযুক্তির সহযোগিতা পেলে বিশ্বমানের কাজ করতে পারেন বলে এনটিভি অনলাইনকে জানান তিনি।
নায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল নির্মাণ করছেন চলচ্চিত্র ‘দিন—দ্য ডে’। ইরান-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ছবিটি প্রযোজনা-পরিচালনার পাশাপাশি অভিনয়ও করছেন তিনি। ছবিতে নায়িকা হিসেবে কাজ করছেন বর্ষা। এর আগে ইরানে রোমান্টিক গানের শুটিং করেন দেশি কোরিওগ্রাফার হাবিবকে নিয়ে।
আরমান বলেন, ‘টানা প্রায় চল্লিশ দিন ছিলাম ইরানে। জুন মাসের ১০ তারিখ শুটিং করতে গিয়েছিলাম। এসেছি চলতি মাসের ২০ তারিখ। সেখানে বেশ কিছু অ্যাকশন দৃশ্যের চিত্রায়ণ করেছি। কাজ করতে অনেক ভালো লেগেছে। কারণ, সেখানে অনেক উন্নত প্রযুক্তি পেয়েছি। ভালো টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেলে আমরা দেশি টেকনিশিয়ানরা ভালো কাজ করতে পারি। এই ছবির মধ্য দিয়ে তা সবাই দেখতে পাবেন। আমি নায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলকে ধন্যবাদ দিতে চাই এই ছবিতে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।’
আরমান আরো বলেন, ‘আমরা দেশে যে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করি, তা অনেক পুরোনো। এ কারণে সব সময়ই অ্যাক্সিডেন্টের ভয় আমাদের মধ্যে কাজ করে। এর পরও আমরা চেষ্টা করি যেন কোনো ঝামেলা না হয়। ইরানে কাজ করতে গিয়ে কোনো ভয় কাজ করেনি। সেখানে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, তাকে অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ার ভয় থাকে না। কাজ করে শান্তি পেয়েছি। সেখানে কাজ করে মনে হয়েছে, আমরা টেকনিক্যালি অনেক পিছিয়ে আছি।’
এ বিষয়ে অনন্ত বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বাংলাদেশের বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেষ্টা করেছি। দেশি চলচ্চিত্রকে বিশ্বমানের করতে চেষ্টা করেছি। প্রথম থেকে আমার ছবিগুলো দেখলেই সবাই তা বুঝতে পারবেন। তার সঙ্গে বাংলাদেশের টেকনিশিয়ানদেরও বিশ্বব্যাপী পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে অনেক মেধা আছে, সুযোগ পেলে তারা ভালো কিছু করবে।’
চলচ্চিত্রের নেপথ্য নায়ক ফাইট ডিরেক্টর আরমানের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার ৪০ বছরেরও বেশি। প্রথম দিকে শুধু স্টান্টম্যান হিসেবেই কাজ করেছেন তিনি। ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে প্রথম কাজ করেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘ওমর শরিফ’ ছবিতে। সেই থেকে শুরু, আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। এ পর্যন্ত হাজারেরও বেশি ছবিতে অ্যাকশন পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন। শুধু অ্যাকশন পরিচালকই নয়, প্রযোজক হিসেবেও তিনি সফল। তাঁর প্রযোজিত ‘শান্ত কেন মাস্তান’, ‘গুণ্ডা নাম্বার ওয়ান’, ‘হিংস্র মানব’, ‘বাদশা কেন চাকর’সহ সাতটি ছবিই সুপারহিট।